আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের (By-Election 2019 Results) ফলপ্রকাশ।আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফলপ্রকাশ।পিটিআই থেকে প্রাপ্ত খবরানুসারে, খড়্গপুর সদর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদীপ সরকার ২০,৭৮৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন।শুরুতে কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এগিয়ে থাকলেও, তারপরে এগিয়ে যায় বিজেপির প্রেম চন্দ্র ঝাঁ। কিন্তু শেষ হাসি হাসে সবুজ শিবির।কালিয়াগঞ্জের পর গেরুয়া ঝড় ফিকে পড়েছে সেখানেও।করিমপুরে এগিয়ে তৃণমূলের বিমলেন্দু সিনহা রায়।নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৭৫.৩৪ শতাংশ।নির্বাচনের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পরিবেশ। ওইদিন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash Majumdar) উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নদিয়ার ফিলপুলখোলা এলাকায় তাঁকে মারধর করে লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নির্বাচনি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিককে ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
বিজেপি নেতা বিভিন্ন বুথে ঘোরার সময় “গো-ব্যাক” স্লোগান দেন তৃণমূল সমর্থকরা। ভিড় সামলাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ।ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গুন্ডারা জড়িত বলে দাবি করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “ক্ষত সেরে যাবে, তবে এই ঘটনা রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংসের লক্ষণ।”
তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি করতে ভুয়ো ভোটার নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, “তবে এই ঘটনা আমায় হতাশ করতে পারবে না। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।”
পুরো অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি ভাল করেই জানে, তারা নির্বাচনে পরাজিত হবে। সেই জন্য তারা সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছে।''
নদিয়া জেলা তৃণমূলের দাবি, ভোটের পরিবেশ “দূষিত” করার অভিযোগে তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।