This Article is From May 12, 2018

কর্নাটক নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু জরুরি তথ্য

গোটা রাজ্যে এই ভোটকে কেন্দ্র করে মোট 55600টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে

কর্নাটক নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু জরুরি তথ্য

কর্নাটক নির্বাচন 2018: অত্যন্ত তিক্ত কিছু প্রচারের সাক্ষী রইল রাজ্য

বেঙ্গালুরু: তিন মাস ধরে তিক্ততায় ভরা প্রচার নিরলসভাবে চালানোর পর, আজ, কর্নাটকের নির্বাচন। আজকেই ঠিক হয়ে যাবে কংগ্রেস, বিজেপি ও জনতা দল সেকুলারের মধ্যে যে ত্রিশঙ্কু প্রতিদ্নন্দ্বিতার আবহ তৈরি হয়েছিল এতদিন ধরে, তা শেষমেশ কোনদিকে গেল।
4.96 কোটির বেশি ভোটার রয়েছে এই রাজ্যে। যারা 2600 প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঠাবে বিধানসভায়।
2.52 কোটি পুরুষ ভোটার এবং মহিলা ভোটারদের সংখ্যা 2.44 কোটি। 4552 জন রূপান্তরকামী ভোটারও রয়েছে এই তালিকায়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গোটা রাজ্যে এই ভোটকে কেন্দ্র করে মোট 55600টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। 3.5 লাখের এর বেশি নির্বাচনকর্মী থাকবেন সব বুথ মিলিয়ে। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে এমন বেশ কিছু সরকারি কর্মীকে বিশেষ কিছু বুথে নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুত্র আরও জানিয়েছে যে, এই প্রথমবার, মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেই বুথের কতটা জনসমাগম হয়েছে, তা জেনে নেওয়া যাবে খুব সহজেই। 1985 সাল থেকে এই রাজ্যে কোনও পার্টিই পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। অমিত শাহ এই নির্বাচনকে “দক্ষিণে বিজেপির প্রবেশদ্বার” হিসাবে অভিহিত করেছে।
2008 থেকে 2013  সাল অবধি বিজেপি ক্ষমতায় ছিল এই রাজ্যে। ওই একবারই বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল এখানে। সেই আমলের তিনজন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একজন, এবং এইবার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী-প্রার্থী বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা দুর্নীতির দায়ে জেলে যান। জনতা দল সেকুলারের রাজ্য সভাপতি এইচ ডি কুমারস্বামী বলেছেন, এই লড়াই তাঁদের দলের কাছে ‘অস্তিত্বরক্ষার লড়াই’। তাঁদের দল ক্ষমতার বাইরে রয়েছে কয়েক দশক ধরে। কংগ্রেস যদিও, তাদের জয় নিয়ে আশাবাদী। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া টুইট করে বলেছেন-“আমি বহুদিন ধরে শুনে আসছি যে, ইতিহাস আমার বিপক্ষে। এই রাজ্যে বহুদিন পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসতে পারেনি কোনও দল। কিন্তু, এইবারে ইতিহাসটা বদলাবে”।
কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিও প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার। এই নিয়ে একটি ক্যাম্পেনও ও শুরু করেছিল তারা। যার নাম- ‘মিশন 150  (আসন)’। অমিত শাহ গতকাল জানিয়েছেন, বিজেপি এবারে 130টার বেশি আসন পাবে।
প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে মোট চারজন মুখ্যমন্ত্রী এই নির্বাচনে লড়ছেন। সিদ্দারামাইয়া, ইয়েদ্দুরাপ্পা, কুমারাস্বামী এবং জগদীশ শেট্টার। 224 সদস্যের বিধানসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোট হবে 222টি কেন্দ্রে। জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী বি এন বিজয়কুমারের মৃত্যুর জন্য ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত আছে। ভোট স্থগিত আছে বেঙ্গালুরুর রাজেশ্বরীর নগর কেন্দ্রেও। ওখানকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে 10000 ভোটার কার্ড উদ্ধার হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।  
গত নির্বাচনে কংগ্রেস মোট আসন জিতেছিল একশো বাইশটি।
নির্বাচনের গণনা হবে আগামী 15 মে। ওইদিনই প্রকাশিত হবে ফলাফল।


(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.