Read in English
This Article is From Oct 23, 2018

বেঙ্গালুরু থেকে প্রাপ্ত 10,000 ভোটার পরিচয় পত্রের সত্যতা

কর্ণাটক নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পদস্থ অধিকারী সঞ্জীব কুমার বুধবার জানিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরু এপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া 10000 ভোটারদের পরিচয় পত্র আসল বলেই মনে হচ্ছে.

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় 10000 ভোটার পরিচয় পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে

নিউ দিল্লী:

কর্ণাটক নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পদস্থ অধিকারী সঞ্জীব কুমার বুধবার জানিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরু এপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া 10000 ভোটারদের পরিচয় পত্র আসল বলেই মনে হচ্ছে. নির্বাচন কমিশনের দল যে ঘর থেকে পরিচয় পত্র গুলি পাওয়া গেছিল সেখানে যায় এবং প্রথম পরীক্ষায় সেগুলিকে আসল বলেই মনে হয়েছে বলে জানিয়েছে. 

মঙ্গলবার রাতে এই পরিচপত্র গুলি উদ্ধার হওয়ার পরে, কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের হাত তুলেছে. এমনকি বুধবার প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভোট সংক্রান্ত এক মীটিংয়ে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন, তিনি বলেছেন যে, ''নকল ভোটার পরিচয় পত্র দিয়ে কংগ্রেস কি করবে? কর্ণাটকে কংগ্রেস কি করতে চাইছে?'' কংগ্রেস সঙ্গে সঙ্গে তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, ''একটা মিথ্যের কারখানা.'' 

এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানার জন্য দিল্লীর নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, সহকারী নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমারকে বেঙ্গালুরু পাঠানো হয়েছে সম্পূর্ণ সত্য উদ্ঘাটনের জন্য. নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে NDTV -কে জানানো হয়েছে যে, বিজেপির পক্ষ থেকে  রাজরাজেশ্বরী নগরে ভোট বন্ধ করার যে দাবি জানানো হয়েছিল, সেই রকম কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না. বিজেপির নেতা সদানন্দ গৌড়া বলেছেন যে, অধিকারিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কংগ্রেস ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে. তিনি কংগ্রেসের নেতা মুনিরত্ন নাইডুকে গুন্ডা বলেছেন এবং প্রায় 60 হাজার ভুয়ো পরিচয় পত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন. এই বিষয়ে অনন্ত কুমার বলেছেন যে, কংগ্রেস নির্বাচনে ভুল পথে চলার চেষ্টা করছে. তিনি বলেছেন যে, রাজরাজেশ্বরী ক্ষেত্রে ভোট হওয়া উচিত না.

Advertisement
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা বলেছে, যে এপার্টমেন্ট থেকে পরিচয় পত্র গুলি পাওয়া গেছে সেটি বিজেপি নেতা মঞ্জুলা নজামরির. কংগ্রেসের মতে এই ঘরের ভাড়াটে হল তাঁর ছেলে রাকেশ. কংগ্রেস নেতা সুরজেবালা এমন কিছু কাগজ পত্র পেশ করেছেন যা অনুসারে রাকেশ বিজেপির হয়ে নগর নিগমের ভোটে দাঁড়িয়েছিল. কংগ্রেসের এই অভিযোগের পরে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মঞ্জুলা 6 বছর আগেই পার্টি ছেড়ে দিয়েছেন. জাবরেকর বলেছেন যে, মূল কথা হল ফ্ল্যাট থেকে পরিচয় পাত্র লাভ আর সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে. 

নির্বাচন কমিশন এই তদন্তের জন্য সমস্ত রকম জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে. প্রথম থেকেই জানানো হয়েছিল যে, এটি কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়. তদন্ত সম্পূর্ণ রূপে শেষ করার পরেই বোঝা যাবে যে, সত্যিই পরিচয়পত্র গুলি নকল না আসল. বেঙ্গালুরুর শেষাদরি রোড স্থিত নির্বাচন কমিশন দপ্তরে প্রেস কনফারেন্স সঞ্জীব কুমার এই কথা জানিয়েছেন. 
Advertisement
Advertisement