রাজভবনে বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে শপথবাক্য পাঠন করান রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা।
বেঙ্গালুরু:
শুক্রবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবার শপথ নিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের পতনের তিনদিন পর কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শপথ নিতে হবে তাঁকে। বিজেপির পক্ষে রয়েছে ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন, তবে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬ কম। যদিও জয়ের ব্যাপারে তিনি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
সাদা শার্ট এবং গলায় সবুজ স্টোল নিয়ে একা শপথগ্রহণ করলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের ক্ষমতা হারানো কংগ্রেস অনুষ্ঠান বয়কট করে একে একটি অপবিত্র অনুষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছে।
শপথগ্রহণের আগে, নিজের নামের বানান পরিবর্তন করেন বিএস। তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেও, কোনওবারই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। সেই কারণে, এবার কোনও ঝুঁকি নিতে চান না ইয়েদুরাপ্পা।
শুক্রবার সকালে, রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার সঙ্গে দেখা করে এদিনই শপথগ্রহণের দাবি জানান। সূ্ত্রের খবর, সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেন তিনি। NDTV কে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, “সংখ্যা জোগাড়ের বিষয়ে আমি ১০১ শতাংশ নিশ্চিত”।
দিল্লি থেকে নেতাদের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার জন্য দুদিন অপেক্ষায় ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। মনে করা হচ্ছে, বিধানসভায় সংখ্যা জোগার নিয়ে নিরাপদস্থানে পৌঁছাতে চায় বিজেপি। তবে দলের সভাপতিকে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আর্জি জানান ইয়েদুরাপ্পা।
সূত্রের খবর, কর্নাটকের বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দিল্লিক, বিদ্রোহী বিধায়কদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়, তারপরেই সবুজ সঙ্কেত মেলে।
গতবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না, জানাতে পেরে, আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা। এরপর বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে, জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস।
১৭ জন বিদ্রোহী বিধায়কের মধ্যে তিনজনকে বহিস্কার করেন অধ্যক্ষ কেআর রমেশ কুমার। তারপরেই সক্রিয় হয় বিজেপি, এবং পরে জোট ভেঙে যায়। মঙ্গলবার আস্থা ভোটে, বিজেপি পায় ১০৫ জনের সমর্থন, সেখানে ৯৯ জনের সমর্থন পায় জোট।
.
বহিষ্কারের পরে বিধানসভার মোট সংখ্যা হয়ে যায় ২২২।সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন হয় ১১২জনের সমর্থন। বিজেপির রয়েছে ১০৫ জন বিধায়ক এবং একজন নির্দলের সমর্থন। আরেক নিপ্দল বিধায়ককে বহিষ্কার করা হয়। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের পক্ষে ছিল ১০০ জনের সমর্থন। তারমধ্যে রয়েছে আস্থা ভোটের সময় অসুস্থ বলে হাজির না হওয়া বিধায়ক। গতমাসে ১৫ জন বিধায়কের গণইস্তফাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন ঘনিয়ে আসে। বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বইয়ে চলে যান তাঁরা, সেখানে একটি পাঁচতারা হোটেলে আশ্রয় নেন।
প্রথমদিকে সংখ্যালঘু সরকার গড়তেই উদ্যোগী হয় বিজেপি। বিদ্রোহী বিধায়কদের অবস্থা জানা ছিল না তাদের। যদিও সূত্রের খবর, অপেক্ষা করতে রাজি নয় দল এবং বিদ্রোহীদের দলবদলের আশঙ্কায় তারা কিছুই করবে না।
ইয়েদুরাপ্পাকে একজন “দুর্নীতির আইকন এবং জেলের পাখি” বলে কটাক্ষ করে ট্যুইট করে কংগ্রেস তাঁকে “গণতন্ত্রকে শেষ করতে ঘোড়া কেনাবেচার দুরন্ত দক্ষতা এবং ক্ষমতায় আসা”-র অভিযগ তুলেছে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, “কর্নাটকের মানুষ মনে রেখেছেন, ২০০৮-১০১১ পর্যন্ত ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন্ত্রী পদের কার্যকাল, সেই সময় তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছিল জেল যাওয়ার মধ্য দিয়ে। আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে”।
Post a comment