রবিবার থেকে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসা যা বৃহস্পতিবার থেকে নিয়ন্ত্রণে।
হাইলাইটস
- দিল্লির হিংসা দেশের ভাবাবেগে পরিকল্পিও হামলা, টুইট কর্নাটক বিজেপির
- গত ৩৬ ঘণ্টায় দিল্লিতে হিংসার খবর নেই। মৃত্যু বেড়ে ৪২
- খুলেছে দোকান-বাজার। পথে নেমেছে মানুষ
নয়া দিল্লি: দিল্লির হিংসা (Delhi Violence) ভারতীয় মূল্যবোধে পরিকল্পিত হামলা। শুক্রবার টুইট করে অভিযোগ তুলল কর্নাটক বিজেপি (Karnataka BJP)। এর আগেও একাধিকবার উস্কানিমূলক টুইট (Tweet) করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিজেপির এই কর্নাটক শাখা। দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে ফের সরব হয়ে বিতর্ক উসকে দিতে চাইল দক্ষিণ ভারতের এই গেরুয়া শিবির। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। শুক্রবার নিজেদের সরকারি টুইট পেজে কর্নাটক বিজেপি লেখে, "সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) আন্দোলন ভুয়ো। কিন্তু তার জেরে ছড়িয়ে পড়া হিংসা দেশের ভাবাবেগে পরিকল্পিত হামলা।" তাদের দাবি, "সিএএ-তে কতজন নাগরিকত্ব হারিয়েছেন? সংখ্যাটা শূন্য। কিন্তু এই আইনের বিরোধিতার জেরে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। তথাকথিত শান্তিকামীদের ভুয়ো প্রতিবাদের জেরেই ছড়িয়ে পড়া এই হিংসা। যা পরিকল্পিত ভাবে দেশেরে ভাবাবেগে হামলা।"
মৃত ৪২, কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি ৩৬ ঘণ্টায়: দিল্লি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক: কেন্দ্র, ১০টি তথ্য
এই টুইটের প্রতিবাদে সরব হয়ে নেটিজেনদের অভিযোগ, "বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর উস্কানিমূলক মন্তব্য, দিল্লি পুলিশের অব্যবস্থা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহের ব্যর্থতা। এই হিংসার নেপথ্যে অন্যতম কারণ।"
এদিকে, গত রবিবার থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে শুরু হয়েছিল হিংসা। জানা গিয়েছে, শিব বিহার অঞ্চলের এক স্কুলে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করে আসবাব ও বইপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই স্কুল থেকেই তারা ওই অঞ্চলের বিভিল্ল এলাকায় হামলা চালায়। স্কুলটিকে তারা ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই স্কুলের পাশেই রয়েছে আরও একটি স্কুল। দুষ্কৃতীরা সেই স্কুল থেকে দড়ির সাহায্যে ওই স্কুলের চত্বরে প্রবেশ করে। তারপর ব্ল্যাকবোর্ড ভাঙচুর করে আসবাব ও লাইব্রেরিতে আগুন লাগিয়ে দেয় গত সোমবার বিকেলে। শিবসেনা ডিআরপি কনভেন্ট স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ধর্মেশ শর্মা একথা জানিয়েছেন। ওই স্কুলে প্রায় ১,০০০ পড়ুয়া পড়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছেঁড়া বইখাতা পড়ে রয়েছে মাটিতে।
দিল্লির নতুন পুলিশ কমিশনার হলেন এসএন শ্রীবাস্তব
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ শুক্রবার দিল্লির হিংসা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধির মন্তব্যকে আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, বিরোধী নেত্রীর কোনও প্রয়োজন নেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তার কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়ার, যেখানে তাঁর নিজের দলের রেকর্ড নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শ্রীমতি সনিয়া গান্ধি দয়া করে আমাদের রাজধর্ম শেখাবেন না। আপনাদের রেকর্ড রয়েছে সহজ ভোট নীতির জন্য দ্রুত হিংসা ও তারপর বদলের।''