This Article is From Jul 16, 2019

কর্নাটক নিয়ে বুধবার রায়, মঙ্গলবার দিনভর শুনানির পর জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Karnataka crisis: সুপ্রিম কোর্টে কর্ণাটকের রাজনৈতিক সংকট, জেডিএস-কংগ্রেস জোটের ১৬ জন বিধায়ক ও ২ জন নির্দল বিধায়ক পদত্যাগ করেন,বুধবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত

বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পদত্যাগ গৃহীত হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ

নয়া দিল্লি:

ঝুলে রইল সিদ্ধান্ত, কর্নাটক সঙ্কট নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর শুনানির পর  সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানাল বুধবার এ বিষয়ে রায় দেবে তাঁরা। এদিকে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়ে জোর সওয়াল করেন কর্নাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের (Karnataka's rebel lawmakers) আইনজীবী। তাঁদের জোর করে বিধানসভায় আসতে বাধ্য করা যায় না বলেও সওয়াল করেন তিনি। "তাঁদের বন্দুকের নিশানায় রাখার মতো কোনও প্রমাণ আছে কি", বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তোলেন তাঁদের আইনজীবী প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)। তিনি আদালতকে আরও জানান যে, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণে দেরি করছেন কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ। "যখন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছি না, তখন কি আমায় জোর করা যেতে পারে সে ব্যাপারে? অধ্যক্ষ একটি বিশেষ দলের সঙ্গে  কথা বলতে বাধ্য করতে চাইছেন, কিন্তু আমরা সেটা চাই না", বিধায়কদের হয়ে বলেন তাঁদের আইনজীবী।

তাঁদের ইস্তফা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করছেন না কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভার অধ্যক্ষ, এমন অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৫ জন বিধায়ক। এদিকে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, বুধবারের মধ্যেই বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। সেই পর্যন্ত যেন তাঁকে সময় দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার, শীর্ষ আদালত জানায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিষয়ে কোনও রায় দেওয়া হবে না। তবে বিধায়কদের লাগাতার ইস্তফায় কর্নাটকের এইচ ডি কুমারাস্বামী (HD Kumaraswamy) সরকারের টিকে থাকা নিয়ে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেডিএস-কংগ্রেস জোটের ১৬ জন বিধায়ক এবং ২ নির্দল বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন সরকার থেকে। ওই বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে জোটের ১১৮ সদস্য সংখ্যা ১০০ তে নেমে আসবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা ১১৩ থেকে ১০৫-এ নেমে আসবে। ওদিকে বিরোধী দল বিজেপির কাছে ১০৫ জন সদস্য এবং ২ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, যার ফলে তাঁদের শিবিরে থাকা বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৭-এ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ কমিটির বৈঠক ডাকার নির্দেশ

কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ কুমার আদালতকে জানান যে তাঁকে পদত্যাগী বিধায়কদের ইস্তফা পত্র পরীক্ষা করার জন্য সময় দিতে হবে এবং তিনি এই বিষয়টিও পরীক্ষা করে দেখবেন যে ওই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা নিরপেক্ষভাবে দেওয়া হয়েছে নাকি কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছেন তাঁরা। তিনি আরো দাবি করেন যে ওই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত সপ্তাহের বুধবার রাতেই কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়েছিল আদালত, কিন্তু তা না হওয়ায় শীর্ষ আদালত পালটা প্রশ্ন করে যে শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার মতো ক্ষমতা কি আছে অধ্যক্ষের কাছে? মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, বুধবারের মধ্যেই বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। সেই পর্যন্ত যেন তাঁকে সময় দেওয়া হয়।

আগামী বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস-জেডিএস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দেওয়ার জন্যে ফ্লোর-টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেভাবে হোক জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চায় কুমারাস্বামী সরকার।

এদিকে যেভাবে কংগ্রেস বিধায়করা একের পর এক ইস্তফা দিচ্ছেন সেই সঙ্কট থেকে বাঁচতে কংগ্রেসের মধ্যস্থতাকারী ডি কে শিবকুমার এবং অন্যান্য নেতারা মুম্বইয়ের যে হোটেলে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা রয়েছেন সেখানে গেছেন।

বন্যার কবলে অসম, প্রভাবিত ৪৩ লক্ষ মানুষ, রইল ১০ টি তথ্য

গত শুক্রবারই জোট সরকার কিছুটা আশার আলো দেখেছিল যখন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) এবং মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামীর (HD Kumaraswamy) সঙ্গে কথা বলার পর বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এম টিবি নাগরাজ আরেক বিধায়ক সুধাকর রাওকে নিয়ে ফের জোটে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু ঠিক তার পরের দিনই পাল্টি খেয়ে নাগেশ্বর জানান, নিজের ইস্তফা ফেরানোর কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই।

যদি ওই বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয় তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে কর্নাটকের বিরোধী দল বিজেপি। যদিও ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে কর্নাটকে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পদত্যাগ করা উচিত কেননা "শাসন করার জন্য নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছে তাঁরা"। কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ ওঠে।

.