This Article is From May 19, 2018

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করলেন

বি এস ইয়েদুরাপ্পা কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটের ঠিক আগেই পদত্যাগ করে বসলেন

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করলেন

কর্ণাটকের আস্থা ভোট: কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়কদের নিয়ে বাসটি পৌঁছল বেঙ্গালুরুতে।

বেঙ্গালুরু: বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পা আজ আস্থা ভোটের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। অনেকেই বলেছিলেন, তাঁর হেরে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে হতে চলা ফ্লোর টেস্টের এক ঘন্টা আগেও কংগ্রেসের যে দুই বিধায়ক বিধানসভা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান, তাঁদের নিয়ে প্রবল তোলপাড় চলে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে, ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছনোর জন্য মরীয়া বিজেপি তাঁদের দুজন আটকে রেখেছে। প্রমাণ হিসাবে  কংগ্রেস দুটো অডিও টেপ প্রকাশ করেছে। একটি আবেগমথিত বিদায়ী বক্তৃতা দিতে গিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সময়ে দেশ শাসন করছেন,  সেই একই সময়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমার। সূত্র এনডিটিভিকে আজ জানিয়েছে যে, বিজেপি নেতৃত্ব থেকেই এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।  নির্বাচনের বছরে দলের মধ্যে ঘোড়া বিকিকিনির পরিস্থিতি তাঁরা চাইছেন না।


10টি জ্ঞাতব্য বিষয়:
  1. বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বেঙ্গালুরু থেকে দুটি বাস হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়। বাস দুটিতে ছিল কংগ্রেস এবং জেডিএসের নবনির্বাচিত বিধায়করা। বিজেপি যাতে কোনওভাবে বিধায়কদের আর্থিক বা অন্যান্য প্রস্তাব দিয়ে তাদের দল ভাঙাতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
  2. কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার থেকে বিজেপির এখনও আটটি আসন দরকার। কংগ্রেস এবং জেডিএস বারবার অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি তাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে।
  3. “ফ্লোর টেস্ট শনিবারে হওয়াই সবথেকে ভালো, যাতে কেউ কোনও সময় না পায়”। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম একজন শুক্রবার এ কথা বলেন। ইয়েদ্দুরাপ্পার গোপন ব্যালটে ভোট করার অনুরোধ খারিজ হয়ে যায়।
  4. সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ার ঠিক পরেই কংগ্রেস এবং জেডিএস তাদের বিধায়কদের 530 কিলোমিটার এবং আটঘন্টার পথ উজিয়ে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।  
  5. বুধবার রাতে, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে, রাজ্যপাল কংগ্রেস-জেডিএসকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিজেপিকে জানান। কংগ্রেস-জেডিএসের মোট নবনির্বাচিত বিধায়কের সংখ্য তখন ছিল 117জন।
  6. কংগ্রেস ওই রাতেই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানায় রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে। গোটা রাত ধরে শুনানি চলার পর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ইয়েদ্দুরাপ্পার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হবে না বটে, তবে এই মামলার শুনানি চলবে।
  7.  কোর্ট যখন ইয়েদ্দুরাপ্পার উকিল রোহাতগির কাছে জানতে চায়, সমর্থন কী করে আসবে, তখন তিনি জানান, “কংগ্রেস এবং বিজেপির বিধায়কদের থেকেই আসবে, এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়”।
  8. কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানান, কোর্টের এই রায় তাঁর দলের সিদ্ধান্তের যথার্থতাই প্রমাণ করল।
  9. একজন অস্থায়ী স্পিকারকে নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে। বিজেপির কে জি বোপাইয়া এই দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনিই পরিচালনা করবেন।
  10. ঘুষ, হুমকি এবং অন্যান্য কার্যকলাপ থেকে নিজেদের নবনির্বাচিত বিধায়কদের রক্ষা করার জন্য কংগ্রেস এবং জেডিএস বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনটি বাসে করে তাঁদের বেঙ্গালুরুর বাইরে পাঠিয়ে দেয়।

    .