মেঙ্গালুরুর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সঙ্গে গোধরা কাণ্ডের তুলনা টেনে ওই কথা বলেন CT Ravi
হাইলাইটস
- কর্ণাটকের মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড়
- গোধরা কাণ্ডের মতো পরিস্থিতি হতে পারে, বলেন তিনি
- মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হোক, বলল কংগ্রেস
বেঙ্গালুরু: এই রকম চললে যে কোনও মুহূর্তে দেশে গোধরা কাণ্ডের মতো আরও একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কর্ণাটকের পর্যটন মন্ত্রী সিটি রবি। তিনি কংগ্রেস নেতা ইউটি খাদেরকে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধৈর্য পরীক্ষা করা উচিত নয়, তা হলে ফের ওই রকম ঘটনা (Godhra) ঘটবে। দেশ জুড়ে যেভাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ (Citizenship Amendment Act Protest) হচ্ছে সেই প্রসঙ্গেই ওই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন কর্ণাটকের মন্ত্রী। "তাঁদের মানসিক অবস্থার কারণেই তাঁরা সেই সময় গোধরায় একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়েছিল। তাঁদের সেই সময়ের মানসিক অবস্থাই তাঁদের ওই ঘটনা ঘটাতে প্ররোচিত করেছিল যে তাঁরা ট্রেনের মধ্যে থাকা মানুষদের জীবিত পুড়িয়ে মেরেছে। তাই যখনই কোনও প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে আমরা শিউরে উঠি তখন গোধরা কাণ্ডই মনে আসে, তখন আমরা তা গোধরার মতোই জানি", বলেন সিটি রবি, কর্ণাটকের মন্ত্রীর ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-আন্দোলন (Citizenship Act Protest) চলছে।
পুলিশের গুলিতে মেঙ্গালুরু-তে নিহত ২ লখনউয়ে ১, উত্তপ্ত ভারত: ১০ তথ্য
মেঙ্গালুরুতে যেভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রতিক্রিয়ার গোধরা কাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেন কর্ণাটকের পর্যটন মন্ত্রী ।
বৃহস্পতিবার রাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করা দুই বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে মারা যান।
কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও ওই ভিডিওটি টুইট করে বলেছেন, "সিটি রবি-র করা ওই মন্তব্য উস্কানিমূলক হুমকির সমান। পুলিশের অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা উচিত এবং তাঁকে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়ে রাখা উচিত"।
এবার আঘাত সংবাদমাধ্যমের উপর, মেঙ্গালুরুতে সংবাদ সংগ্রহে বাধা সাংবাদিকদের
কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আরও বলেন, একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সিটি রবির এই ধরণের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই ।
সারা ভারত জুড়ে চলছে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢেউ। এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ১০ রাজ্যের মানুষ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকের বিভিন্ন এলাকা, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ। প্রায় সমস্ত রাজ্যেই বিক্ষোভের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও মেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিক্ষোভ মারাত্মক আকার ধারণ করে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। মেঙ্গালুরুতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, সেখানে পুলিশের গুলিতে ২ জন মারা যান এবং বিক্ষোভের দাপটে আহত হন ২০ জন পুলিশ কর্মী।
দেখুন এই ভিডিও: