This Article is From Mar 02, 2020

"দেশবিরোধী স্লোগান উঠলেই গুলি চালান," NDTV-কে বললেন কর্নাটকের মন্ত্রী

দেশ বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখলেই গুলি মেরে হত্যা করা হোক। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন নিদান দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী বিসি পাটিল।

"আমরা সরকারকে বলবো অর্ডিন্যান্স আনতে। যাতে বলা থাকবে দেশ-বিরোধী স্লোগান তুললেই গুলি মেরে হত্যা।" এমনটাই বলেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী।

হাইলাইটস

  • "দেশবিরোধী স্লোগান তুললেই তাঁকে গুলি মেরে হত্যা করা হোক"
  • এমন নিদান দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী বিসি পাটিল
  • "এটা এখন একটা ফ্যাশন," কটাক্ষ করেছেন ওই মন্ত্রী
নয়াদিল্লি:

দেশ বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখলেই গুলি মেরে হত্যা (Shoot At Sight) করা হোক। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন নিদান দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী বিসি পাটিল (A Karnataka Minister)। তিনি বলেন, "আমরা সরকারকে বলবো অর্ডিন্যান্স আনতে। যাতে বলা থাকবে ভারত-বিরোধী (Anti-Inida Slogans) স্লোগান যারা তুলছেন, তাঁদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হোক। এটা এখন ফ্যাশন। কয়েকজন যুবক জনপ্রিয়তা কুড়োতে দেশ ও দেশপ্রেমকে বদনাম করছে।" দিল্লি হিংসার(Delhi Violence) সময়ে এই বিষয়ে একবার সরব হয়েছিলেন ওই মন্ত্রী। অভিযোগ, "মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আর কয়েকজন বিজেপি নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ছড়িয়েছিল দিল্লিতে হিংসা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দুজনেই দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদীদের দমনে বন্দুক ব্যবহারের নিদান দিয়েছেন। 

Nirbhaya case: আগামিকাল ফাঁসি নয় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের, জানাল দিল্লি আদালত

একই ভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার। নানা উস্কানিমূলক মন্তব্য আর অনুরাগ ঠাকুরের প্রচারসভা থেকে গুলি মারার স্লোগান উঠেছিল। সেই সময় বিজেপি নেতা-মন্ত্রী এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল শাহিনবাগ আন্দোলন। 

এদিকে, কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা চালিয়ে যেতে দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিল আপ সরকার। দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল সে রাজ্যের আম আদমি সরকার। বিজেপির অভিযোগ ছিল, জেএনইউ'র ওই প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে বাঁচাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দাখিল হলেও, এক ফোঁটাও এগোয়নি শুনানির কাজ। আপ সরকারের তরফে অনুমতি না মেলায়, সেই চার্জশিট খারিজ করেছিল আদালত। আদালতের তরফে নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতিপত্র মিললেই এগোবে শুনানির কাজ। কিন্তু দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের কারণে গত একবছরে একচুল এগোয়নি শুনানির কাজ। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে। এরপর একসপ্তাহ আগে ফের দিল্লি পুলিশের তরফে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি! নেটিজেনদের রোষানলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শেফ

অপরদিকে, শুক্রবার রাতে NDTV-র সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাম নেতা কানহাইয়া কুমার। আম আদমি পার্টি কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিয়েছে। কানহাইয়ার অভিযোগ, এবছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি দেবেন্দর সিংহ-র প্রসঙ্গও তোলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের এই পুলিশ আধিকারিককে গত মাসে দিল্লি যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন মুজাহিদিন জঙ্গিকে। কানহাইয়া অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে।

.