হাইলাইটস
- কর্ণাটকের স্কুল-নাটিকায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য
- দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অধ্যক্ষা ও এক পড়ুয়ার মা
- শুক্রবার জামিন পেলেন এই দু'জন
বিদার: স্কুল-নাটিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরোধিতা করে সংলাপ! সেই অভিযোগে কর্নাটকের বিদার জেলার এক স্কুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার (sedition case) মামলা দায়ের হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই স্কুলের অধ্যক্ষা ফরিদা বেগম ও এক পড়ুয়ার মা নাজবুনিসসা মিন্সাকে। প্রায় দু'সপ্তাহ বাদে জামিনে ছাড়া পেলেন এই দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা (Anti-CAA) করে বিদারের ওই স্কুলে ২১ জানুয়ারি একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। শাহিন গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউটের অনুদানে চলা ওই স্কুলের চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা নাটকে অংশ নিয়েছিল। সেই নাটকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংলাপ বলা হয়েছিল। আর সেই সংলাপের দায় গিয়ে বর্তায় এক পড়ুয়ার মা ফারিদা বেগমের ঘাড়ে। পুলিশের অভিযোগ চিত্রনাট্যের বাইরে গিয়ে ওই মহিলা, তাঁর সন্তানকে সেই সংলাপ বলিয়েছিলেন। যেহেতু স্কুলের অধ্যক্ষা এই গোটা বিষয় সম্বন্ধে অবগত ছিলেন, তাই তাঁকেও একই অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেই সে সময় জানিয়েছিল কর্নাটক পুলিশ (Karnataka Police)।
ওমর আবদুল্লার মুক্তির বিষয়ে তাঁর বোনের আবেদনে প্রশাসনকে আদালতের নোটিস
ওই নাটকের পর একটি ভিডিও ক্লিপ সোশাল সাইটে ছড়িয়েছিল। সেই ক্লিপ দেখেই একজন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেফতার করে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা রুজু করে। এমনকী, পুলিশি তদন্ত নিয়েও সে সময় বেশ হইচই হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল; যে পড়ুয়া সেই সংলাপ বলেছিল; তাকে একাধিকবার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। ক্লাস থেকে বাইরে নিয়ে এসে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা জেরা করা হতো ওই পড়ুয়াকে। যা হয়েছে তার ওপর বিচার করে কীভাবে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা রুজু হয়,তা জানা নেই, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল ওই স্কুল।
‘‘হিংসা নয়, ধৈর্যই জয়ের চাবিকাঠি'': জামিয়ায় অনুরাগ কাশ্যপ
পাশাপাশি অনেক স্কুলের অভিভাবকরা এভাবে জেরার নিন্দা করে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। পুলিশ কমিশনারকে খোলা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। বিরোধী দলের তরফে পুলিশের মহানির্দেশক ও আইজি'র সঙ্গে দেখা করে এই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছিল।