This Article is From Jul 22, 2019

কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমন পাঠালেন স্পিকার

Karnataka Crisis: কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমন পাঠিয়েছেন স্পিকার। তাঁদের সমন পাঠানোর অর্থ আস্থা ভোটের সোমবার হবে না।

Karnataka Crisis: ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অনুরোধ, এঁদের বহিষ্কার করা হোক

নয়া দিল্লি/ বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমন পাঠিয়েছেন স্পিকার। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অনুরোধ, এঁদের বহিষ্কার করা হোক। এই বিধায়কদের পদত্যাগের ফলে আচমকাই বিপদে পড়ে যেতে হয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস-জনতা দল সরকারকে। তাঁদের সমন পাঠানোর অর্থ আস্থা ভোট সোমবার হবে না। যদি না জোট সরকারের তরফে চাপ সৃষ্টি করা হয় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবিতে।

জেনে নিন এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  1. মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী আবেদন জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরে আসার জন্য। এভাবেই তাঁরা বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করতে পারবেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ক্ষমতায় আসার জন্য বিধায়কদের দল থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছে। এখনও পর্যন্ত এই দলত্যাগী বিধায়করা কেউই জনতা দল বা কংগ্রেসের আবেদনে সাড়া দেননি। কর্নাটকের বিজেপি মুখ্য বিএস ইয়াদুরাপ্পার দাবি, তিনি আত্মবিশ্বাসী সোমবার কুমারাস্বামী সরকারের শেষ দিন হতে চলেছে।

  2. বহুজন সমাজবাদী পার্টির মুখ্য মায়াবতী তাঁর দলের একমাত্র বিধায়ক এন মহেশকে জোট সরকারকে সমর্থনেক নির্দেশ দেওয়ায় তা স্বস্তি দিয়েছে সরকারকে। অন্যদিকে বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করেছে জোর করে বিধানসভার কার্যক্রমকে দীর্ঘায়িত করার জন্য। তাদের দাবি ১৮ জন সরে যাওয়ার পরে জোটের হার কেবল সময়ের অপেক্ষা। তাই তারা দেরি করতে চাইছে।

  3. মুখ্যমন্ত্রী রবিবার বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য লালায়িত নন। তাঁর দাবি, আস্থা ভোটের জন্য সময় চেয়ে নিয়ে তাঁরা দেশকে দেখিয়ে দিতে চান মুখে আদর্শের কথা বলে বিজেপি কীভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।

  4. বিদ্রোহী বিধায়করা মুম্বইয়ের হোটেলে থাকা অবস্থায় জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা বিধানসভায় কোনও অবস্থাতেই যাবেন না।

  5. শুক্রবার আস্থা ভোট হয়নি রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দু'টি ডেডলাইন দেওয়া সত্ত্বেও। মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামী ও অন্য জোট নেতাদের দীর্ঘ ভাষণের পর সভা মুলতুবি হয়ে যায়। দুই নির্দল বিধায়ক, যাঁরা সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টকে ফ্লোর টেস্টের ব্যাপারে আবেদন জা‌নিয়েছেন। আদালত মঙ্গলবার তাঁদের পিটিশন শুনতে পারে।

  6. বর্ষীয়ান মন্ত্রী ও কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক ডিকে শিবকুমার দাবি করেন, কুমারাস্বামী কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, তাঁর জায়গায় অন্য যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা যেতে পারে জোট সরকারকে বাঁচাতে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই একথা জানিয়েছে। তবে জনতা দলের পক্ষ থেকে এমন দাবির কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনও শোনা গিয়েছে কুমারাস্বামীর এমন আবেদন উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবা ও জনতা দ‌লের মুখ্য এইডি দেবগৌড়া।

  7. তিনি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আস্থা ভোটকে এড়াতে, এই গুঞ্জনকে রবিবার নস্যাৎ করে দিয়েছেন কুমারাস্বামী। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এটা নিছকই গুজব। যারা জোট সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইছে তারাই এসব রটাচ্ছে।

  8. শুক্রবার এইচডি কুমারাস্বামী ও কংগ্রেসের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যান শুক্রবার। রাজ্যপাল বিধানসভার কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করছেন এই অভিযোগ করা হয়।

  9. কংগ্রেসের ১৩ ও জনতা দলের ৩— সব মিলিয়ে ১৬ জন বিধায়ক গত দু'সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি দু'জন নির্দল বিধায়ক জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে এক কংগ্রেস দলত্যাগী রামলিঙ্গা রেড্ডি ফিরে আসছেন দলে। অন্য একজন স্মৃতিনাথ পাতিল জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি অসুস্থ। তাই মুম্বই এসেছেন।

  10. ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় ১১৮ জন জোট সরকারের সদস্য। যদি ১৫ জন বিধায়ক যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের পদত্যাগপত্র যদি সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করে নেয় তাহলে সরকার এসে দাঁড়াবে ১০১ সদস্যতে। দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পেলে বিজেপি এসে দাঁড়াবে ১০৭ সদস্যে। যা সরকার গঠনের ন্যুনতম ১০৫ আসনের থেকে দুই বেশি।



Post a comment
.