Read in English
This Article is From Oct 19, 2019

টোকাটুকি রুখতে অভিনব কায়দা! পরীক্ষার্থীদের মাথায় কাঠবোর্ডের বাক্স পরিয়ে বসানো হল পরীক্ষার হলে!

Karnataka News: বিষয়টিকে ন্যায়সঙ্গত বলেই দাবি করে কলেজের প্রধান বলেন যে বিহারের একটি কলেজও পরীক্ষার সময় টোকাটুকি ঠেকাতে একই পদ্ধতি ব্যবহার হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by , (with inputs from IANS)

কর্নাটকের একটি বেসরকারি কলেজে মাথায় cardboard box পরে পরীক্ষা দিতে বসেছেন পরীক্ষার্থীরা

Highlights

  • হাভেরির বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় কার্টন পরলেন
  • কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে ঘটনাটি একেবারেই "গ্রহণযোগ্য নয়"
  • ১৬ অক্টোবরের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
বেঙ্গালুরু/নয়া দিল্লি:

সত্যি কত আজব ঘটনাই না ঘটে এই মজার দুনিয়ায়। পরীক্ষার হলে গণ টোকাটুকি রুখতে যেখানে অনেক সময়েই নাজেহাল হতে হয় পরীক্ষা পরিদর্শকদের, সেখানে কর্নাটকের একটি কলেজে (Karnataka News) নেওয়া হল এক আজব কায়দা। কর্নাটকের (Karnataka) ওই বেসরকারি কলেজে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসলেন কাঠবোর্ডের বাক্স (cardboard box) বা কার্টন মাথায় পরে। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার দূরের হাভেরীর ভগত প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংঘাতিকভাবে ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা ক্লাসরুমে কার্ডবোর্ডের বাক্স মাথায় পরে পরীক্ষা দিতে বসেছেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের মিড-টার্ম অর্থাৎ মধ্য-মেয়াদী পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন ওই অদ্ভুত কাঠবোর্ডের হেলমেট পরেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে পরীক্ষা পরিদর্শকদেরও পরীক্ষার্থীদের দিকে নজর রাখতে দেখা যায়।

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এরকম আজব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । উঠেছে এই প্রশ্নও যে যদি সত্যিই এই প্রক্রিয়াটি টোকাটুকি রুখতে পারে তবে আরও অনেক প্রশ্ন ওঠে।

শুক্রবার, কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার সংবাদমাধ্যমের সামনে এই খবর প্রসঙ্গে বলেন যে এই ঘটনাটি "পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য"। "এই পদ্ধতিকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করার অধিকার কারও নেই। এই বিকৃত কাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে," তিনি টুইট করেন।

Advertisement

আজব শাস্তি! ছাত্রাবাসে খাবার খাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার!

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মতামতে সায় দিয়েছেন। "এটি শিক্ষার্থীদের জন্য হাস্যকর এবং অবমাননাকর। হ্যাঁ,গণটোকাটুকি একটি সমস্যা, তবে তা সমাধানের উপায় এটা নয়। যে বা যাঁরা এই ব্যবস্থার অনুমোদন করেছেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত", লেখেন একজন।

Advertisement

যদিও এই বিষয়টিকে ন্যায়সঙ্গত বলেই দাবি করে কলেজের প্রধান এমবি সতীশ সাংবাদিকদের বলেন যে বিহারের একটি কলেজও পরীক্ষার সময় টোকাটুকি ঠেকাতে একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সেই সময় সোশ্যাল সাইটগুলি এই পদ্ধতির ব্যাপক প্রশংসা করেছিল।

"আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্যেই এটি করার চেষ্টা করেছি। আমরা চাই না যে শিক্ষার্থীদের মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে যাক ... বাক্সগুলির সামনের দিকটি খোলা ছিল। এটি আমাদের কাছে একটা নতুন ধরণের পরীক্ষা ছিল। আমরা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরণের প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি", বলেন তিনি।

Advertisement

Tiktok Top 10: সায়েন্স নিয়ে পড়ার ফল কি? দেখুন মজাদার VIDEO

এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলার সময়, পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের ডেপুটি ডিরেক্টর বলেন যে ১৬ অক্টোবরের ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

"পরীক্ষা চলাকালীন আমি কলেজটিতে ব্যক্তিগতভাবে গিয়েছিলাম এবং আমি পরীক্ষার্থীদের মাথা থেকে ওই কার্ডবোর্ডের হেড কভারগুলি সরাতে বাধ্য করেছিলাম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ওই কলেজকে নোটিস দিয়েছি, এবং শিক্ষাব্যবস্থার ডিরেক্টরকেও এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছি। তদন্ত শেষ হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি, আমরা কলেজ ম্যানেজমেন্টের দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ না করার জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের বলে এসেছি", বলেন স্কুল পরিদর্শক পীরজাদা ।

দেখুন ১৮.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:

  .  

Advertisement

Advertisement