এই নিয়ে তিনবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতি চাইলেন সিধু
নয়াদিল্লি: কর্তারপুর করিডরের (Kartarpur Corridor) পাকিস্তানের অংশেরর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিতে যেতে পারবেন কিনা, তার জন্য অনুমতি চেয়ে তৃতীয়বার চিঠি লেখেন কংগ্রেস বিধায়ক নভ্যোজৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu), বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক, তাদের তরফে বলা হয়েছে, “নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির সফর” নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না তারা। এখনও পর্যন্ত ৯ নভেম্বর তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছেন সিধু, সর্বশেষ চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, উত্তর না পাওয়ার কারণে, তাঁর সফরের পরিকল্পনায় “ব্যাঘাত ঘটছে”। তাঁকে আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার। তিনি বলেন, “তিনি চা চান, সেটাই করতে পারেন। আমি ইতিমধ্যেই বলেছি, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, এবং আমরা নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির কর্তারপুরে যাওয়া নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। এই বিষয়টিতে আমি কথা বলতে পারি”।
গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক মন্দির এবং পাকিস্তানের গুরুদুয়ারা দরবার সাহিবকে যোগ করেছে কর্তারপুর করিডর, শনিবার দুই প্রান্তেই এই করিডরের উদ্বোধন হবে। ভারতের দিকে করিডরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের দিকে উদ্বোধন করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও, সমস্ত অতিথিদের প্রথমে রাজনৈতিক ছাড়পত্র পেতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র, তারপরেই সিধুর সফর আটকে রয়েছে। তাদের থেকে কিছু শোনেননি বলে দাবি করেছে সিধু।
জরুরি ভিত্তিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করচে চিঠি লেখা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, “দেরী হওয়া এবং কোনও উত্তর না পাওয়ায় ভবিষ্যতে আমার সফর আটক রয়েছে। আমি নির্দিষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, যদি সরকার নাগরিকত্ত্বের বাধ্যবাধ্যকতা থেকে না বলে, আমি যাব না, তবে যদি আপনি আমার তৃতীয় চিঠির জবাব না দেন, তাহলে মিলিয়ন সংখ্যক যেমনভাবে ভিসা নিয়ে যায়, সেভাবেই আমি পাকিস্তানে যাব”।
শিখ তীর্থযাত্রীদের কী কী প্রয়োজন, বৃহস্পতিবার তা জানান রবিশ কুমার, তিনি জানান, সীমান্তে নাম রেজিস্টার করার সময় ২০ ডলার দিতে হবে। তাঁর কথায়, “যাঁরা সেখানে যাচ্ছেন, তাঁদের এই অর্থ নিয়ে যেতে হবে, করে সেই পরিমাণ অর্থ তাঁরা দিতে পারেন”।
কিছু বিষয় অস্পষ্ট থেকে গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সমস্ত তীর্থযাত্রীদের পাসপোর্ট ভিত্তিক অনুমতি প্রয়োজন। এর আগে ইমরান খান বলেছিলেন, ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র বৈধ ভোটারকার্ড রাখলেই হবে, তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর এই মন্তব্যের অমিল রয়েছে।
(With inputs from Agencies)