This Article is From Oct 28, 2019

কর্তারপুর করিডরে তীর্থযাত্রীদের সহজ ‘ক্লিয়ারেন্স’ দিতে পদক্ষেপ পাকিস্তানের

ঢোকার আগে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সব তীর্থযাত্রীদেরই বায়োমেট্রিক স্ক্রিনিং করা হবে। এই একই গেট দিয়ে তাঁরা বেরিয়ে আসবেন।

কর্তারপুর করিডরে তীর্থযাত্রীদের সহজ ‘ক্লিয়ারেন্স’ দিতে পদক্ষেপ পাকিস্তানের

যেদিন আসবেন সেদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ফিরে যেতে হবে তীর্থযাত্রীদের।

লাহোর:

কর্তারপুর করিডরে (Kartarpur Corridor) আসার পরে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের (Pilgrims) যেন বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয় তাই পাকিস্তানের (Pakistan) তরফে তৈরি করা হয়েছে ৮০টি অভিবাসন কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ক'দিন আগেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কর্তারপুর করিডর নিয়ে চুর্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের জীবনের অন্তিম সময় কেটেছিল গুরুদ্বার দরবার সাহিবে, যা বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থিত। কর্তারপুর করিডর দিয়ে সেখানে পৌঁছবেন তীর্থযাত্রীরা। এবং তার জন্য তাঁদের কোনও ভিসা লাগবে না। চুক্তি অনুযায়ী, দৈনিক ৫,০০০ ভারতীয় তীর্থযাত্রীকে পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে।

কথিত, গুরুদ্বার দরবার সাহিবেই জীবনের অন্তিম ১৮ বছর কাটিয়েছিল‌েন গুরু নানক।

কর্তারপুর করিডর চালু করতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

পাকিস্তানের তরফে তিনটি প্রবেশপথ বানানো হয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্য। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন' জানিয়েছে। অন্য একটি গেট দিয়ে আবার ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা ভারতে ফিরবেন।

ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এফআইএ তীর্থযাত্রীদের তালিকায় ‘ক্লিয়ারেন্স' দেবে তাদের ভারতে আসার ১০ দিন আগে। তীর্থযাত্রীদের পাসপোর্ট স্ক্যান করা থাকবে। বিশেষ বাসে করে পাকিস্তানি সেনার উপস্থিতিতে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হবে গুরুদ্বার দরবার সাহিব।

সেখানে ঢোকার আগে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সব তীর্থযাত্রীদেরই বায়োমেট্রিক স্ক্রিনিং করা হবে। এই একই গেট দিয়ে তাঁরা বেরিয়ে আসবেন। যে তীর্থযাত্রীর নাম ‘কালো তালিকা'য় রয়েছে, তিনি প্রবেশের অনুমতি পাবেন না।

জিরো পয়েন্টে প্রত্যেক তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে ২০ মার্কিন ডলার করে নেওয়া হবে।

ছাত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার নারকীয় ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশ

ছ' কিলোমিটারের করিডর যুক্ত করেছে পাঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক শিরিন ও কর্তারপুরের দরবার সাহিবকে। আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে কেবল চার কিলোমিটার দূরত্বে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নরওয়াল জেলায় অবস্থিত সেটি।

যেদিন আসবেন সেদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ফিরে যেতে হবে তীর্থযাত্রীদের। একবার বেরিয়ে গেলে আবার ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি শিখদের প্রবেশের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদেরও বায়োমেট্রিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে।

.