Kartarpur Sahib Opening: এই করিডরের মধ্যে দিয়েই শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের দরবার সাহিবে যাবেন।
নয়াদিল্লি/ গুরদাসপুর: শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কর্তারপুর করিডরের (Kartarpur Corridor) উদ্বোধন করার আগে ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানালেন। "ভারতের আবেগকে সম্মান দেওয়ায়" পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ওই ধন্যবাদ দিলেন তিনি। কেননা ওই করিডরের মাধ্যমেই শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের দরবার সাহিবে (Darbar Sahib in Pakistan) যাবেন। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর তিন দিন আগে এই করিডরের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির। প্রথম যে ৫৫০ জন শিখ তীর্থযাত্রী কর্তারপুর যাবেন সেই দলে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সানি দেওল এবং দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী ও হরসিমরত কউর বাদল। কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোৎ সিং সিধুকেও দরবার সাহিবে যাওয়ার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এদিকে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কর্তারপুর করিডরের অন্য প্রান্তের সূচনা করবেন।
"এই করিডোরটি তৈরির ফলে গুরুদ্বার দরবার সাহিব (পাকিস্তানের কর্তারপুর) এখন শিখ তীর্থযাত্রীদের কাছে অনেকটাই ধরাছোঁয়ার মধ্যে এসে গেল। আমি পাঞ্জাব সরকার, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি এবং ঠিক সময়ে এই করিডোর তৈরিতে সহায়তাকারী প্রত্যেক অংশীদারকে কৃতজ্ঞতা জানাই", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
কর্তারপুরে উদ্বোধনের দিনের তীর্থযাত্রীদের ফি দিতে হবে, অবস্থান বদল পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি যাত্রী টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন। এই ভবন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তীর্থযাত্রীরা নবনির্মিত করিডরে প্রবেশ করবে। উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুলতানপুর লোধির বের সাহিব গুরুদ্বারায় প্রার্থনা করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে।
সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক ও কর্তারপুরের দরবার সাহিবকে যুক্ত করেছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে ছোট্ট শহর কর্তারপুর। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত। কথিত যে, এখানেই জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটান শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক।
নভ্যোজৎ সিধুকে কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি: সূত্র
শুক্রবার পাকিস্তানের তরফে জানানো হয় উদ্বোধনের দিন থেকেই তীর্থযাত্রীদের থেকে ফি দিতে হবে। পরে অবশ্য পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করে জানান তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা মেনে চলবেন। প্রথম দিন কোনও তীর্থযাত্রীর থেকে ফি নেওয়া হবে না।
প্রত্যেক তীর্থযাত্রীর থেকে ২০ ডলার করে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। ভারত এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এবং সেই কারণেই তীর্থযাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বিলম্ব হয়ে যায়।
মনে করা হচ্ছে, ডেরা বাবা নানকে শুক্রবার থেকে সোমবারের মধ্যে দৈনিক ৩০,০০০ তীর্থযাত্রী আসবেন।
উদ্বোধনের পরে ডেরা বাবা নানকের একটি জন সমাবেশেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোট ৩০ একর জমিতে তীর্থযাত্রীদের জন্যে ৫৪৪ টি ইউরোপীয়ান স্টাইলের তাঁবু, ১০০ টি সুইস কটেজ এবং ২০ টি দরবার স্টাইলের তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন গুরু নানক দেবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্যে পাকিস্তানে জড়ো হয়েছেন।