মেরিনা বিচে করুণানিধির শেষকৃত্যের জন্য এম কে স্ট্যালিন অনুরোধ করেছিলেন সরকারকে।
চেন্নাই: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দক্ষিণ ভারতের রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ এম করুণানিধি। তাঁর মৃত্যুর পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মেরিনা বিচে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল এআইএডিএমকে নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকার। ডিএমকে’র প্রতিষ্ঠাতা আন্নাদুরাই যেখানে শায়িত রয়েছেন, সেই ‘আন্না স্কোয়্যার মেমোরিয়ালে’-এর পাশেই করুণানিধির শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন বলে ভেবেছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে বেঁকে বসে তামিলনাড়ু সরকার। আন্নাদুরাই ছাড়াও, এম জি রামচন্দ্রন এবং জয়ললিতার শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছিল চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে। যাকে ঘটনাচক্রে পৃথিবীর বৃহত্তম সৈকতও বলা হয়ে থাকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছেও যায় ডিএমকে। রাত সাড়ে দশটার সময় এই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি হুলুভাড়ি জি রমেশ।
ডিএমকের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার জানায় করুণানিধিকে বরং গান্ধী মন্ডপমের কাছে দু’একর স্থানে শায়িত রাখা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ওখানে তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহও শায়িত রয়েছে। তাঁদের মধ্যে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ডিএমকে নেতৃত্ব তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামীর সঙ্গেও দেখা করেন। তামিলনাড়ুর সরকার প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবে রাজি হলেও তারপর বেঁকে বসে।
ডিএমকে নেতৃত্ব সহ গোটা দক্ষিণ ভারতের নজর এখন মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ের দিকে।