শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন বহু মানুষ ।
চেন্নাই: করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানীস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম, লোকসভার ডেপুটি স্পিকার থাম্বিদুরাই, টিটিভি দিনাকরণ। তাছাড়া সপরিবারে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন রজনীকান্ত।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর উপমুখ্যমন্ত্রী বললেন, করুণানিধির মৃত্যুতে তামিলনাড়ুর বিরাট ক্ষতি হল। পাশাপাশি প্রয়াত নেতার ছেলে তথা তামিলনাড়ু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা স্ট্যালিন থেকে শুরু করে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী নয় মুখ্যমন্ত্রীও স্টালিনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
অনেক আগেই প্রয়াত নেতার দেহ সিআইটি নগরের বাড়ি থেকে রাজাজি হলে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বহু মানুষ। স্বভাবতই নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা। তাই নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে এসপিজি।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর শরীর জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। পাশে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে নেতার শেষকৃত্য মেরিনা বিচে করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ডিএমকে। গতকাল রাতে মাদ্রাস হাইকোর্টে শুনানি শুরু হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। সকালে ফের শুরু হয়েছে শুনানি।
অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন করুণানিধি। সেখানেই মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। গত 29 জুলাই করুণানিধির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই আশঙ্কা দূর হয়ে যায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই ঘটনাটিকে 'অস্থায়ী অবনতি' বলে অভিহিত করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন বয়সজনিত কারণেই এই শারীরিক অবনতি। কিন্তু পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার পুনরায় অবনতি হয়। হাসপাতাল থেকে প্রকাশ করা বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে পুনরায় সচল করে তোলাই এখন হাসপাতালের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে এই কথাও জানানো হয়েছিল যে, আগামী চব্বিশ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আর তা কাটার আগেই শেষ হয়ে যায় সব কিছু।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)