রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও চেন্নাইয়ের মেয়র স্ট্যালিনকে নিজের হাতে গড়েছেন করুণানিধি।
চেন্নাই: তিন সপ্তাহ আগে প্রয়াত হয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের রাজনীতির একমেবাদ্বিতীয়ম চরিত্র তথা ডিএমকে প্রধান ‘কালাইনার’ করুণানিধি। সেই ডিএমকে’র প্রধান হিসেবেই এবার দায়িত্ব নিলেন করুণানিধির পুত্র এমকে স্ট্যালিন। ডিএমকে প্রধান হিসেবে স্ট্যালিনের দায়িত্বগ্রহণ ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কারণ, করুণানিধি নিজেই তাঁকে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গিয়েছেন।
করুণানিধি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই দলের প্রধান হিসেবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন এম কে স্ট্যালিন। আজ ডিএমকে’র সদর দফতরে দলের লাল-কালো পতাকা, সঙ্গীত এবং ড্রামের শব্দকে সঙ্গে নিয়ে সরকারিভাবে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে এম কে স্ট্যালিন। তিনি হলেন দলের দ্বিতীয় প্রধান। এর আগে তাঁর বাবা এম করুণানিধি ডিএমকে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন টানা 49 বছর ধরে।
ডিএমকে সমর্থকরাও করুণানিধির পর দলের প্রধান হিসেবে স্ট্যালিনকেই চেয়েছিলেন।
করুণানিধির মৃত্যুর পরই দলের নতুন প্রধানের জন্য নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল ডিএমকে'র পক্ষ থেকে। কিন্তু গত রবিবার পর্যন্ত দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য চেন্নাইতে ডিএমকে'র সদর দফতর আন্না আরিভালায়ামে একমাত্র মনোনয়নপত্রটি জমা দেন এম কে স্ট্যালিন। ভক্তদের উদ্দাত্তকণ্ঠে 'থালাপাথি' (সেনাপতি) গর্জনের মধ্যে দিয়েই নির্বাচিত হয়ে গেলেন স্ট্যালিন।
এর আগে, গত 14 অগস্টের দলীয় বৈঠকে ডিএমকে'র বর্ষীয়ান নেতারা জানান, তাঁরা দলের নতুন প্রধান হিসেবে স্ট্যালিনকেই চান।
যদিও, বাইরে থেকে পূর্ণ সমর্থন পেলেও ডিএমকে প্রধানের পদের দায়িত্ব গ্রহণ করা নিয়ে স্ট্যালিনের নিজের পরিবারেই অশান্তি ছিল। করুণানিধির প্রথম পক্ষের সন্তান আলাগিরিও চেয়েছিলেন এই পদ। কিন্তু 2014 সালে মোদী সরকারের সমর্থনে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। করুণানিধির মৃত্যুর পর তাঁর সমাধিতে গিয়েছিলেন আলাগিরি। ওই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। রাজনৈতিক মহল যাকে, বকলমে, দলের প্রধান পদে বসার ইচ্ছেপ্রকাশ হিসেবেও দেখেছিল।
দলের কোষাধ্যক্ষে পদের ভার এবার থেকে সামলাবেন দলের প্রধান সম্পাদক দুরাইমুরুগান। এর আগে ওই পদের দায়িত্বে ছিলেন এম কে স্ট্যালিন স্বয়ং।
.