हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 03, 2019

উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শে শ্রীনগর বিমান বন্দরে পর্যটকদের ভিড়, মিলছে না টিকিট

জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। নাশকতার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রাকে লক্ষ্য করে হামলা করতে চাইছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from Agencies)
শ্রীনগর:

উপত্যকায় (Kashmir Valley) জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে ভারতীয় সেনা ও প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীর থেকে অমরনাথ যাত্রী (Amarnath pilgrims) ও পর্যটকদের (tourists) ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই গোটা উপত্যকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য জোগাড়ের হুড়োহুড়ি পড়ে যায় শ্রীনগরের রাস্তায়। রাত কাটতেই সেই ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়ল শ্রীনগর বিমানবন্দরে (Srinagar airport)। চাপা ভয় দূরে সরিয়ে কখন ফেরা যাবে বাড়ি? বিমানের টিকিট কি মিলবে? তা দেখতে থিকথিকে ভিড় বিমানবন্দরে (Srinagar airport)। উৎসাহীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন অমরনাথ যাত্রী (Amarnath pilgrims), তেমনই আছেন ভূস্বর্গে বেড়াতে এসে বিপদে পড়া পর্যটকরাও। কিন্তু, বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের উত্তরে হতাশ হতে হচ্ছে তাদের। 

কাশ্মীর ছাড়তে বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের, হুমকি নিয়ে দুশ্চিন্তা

শ্রীনগর বিমানবন্দরে হন্যে হয়ে মুম্বাইয়ের টিকিট খোঁজ করছিলেন এক মহিলা। বাড়ি ফেরার আর্তি চোখ মুখে। ব্যস্ততার ফাঁকেই তিনি এনডিটিভিকে জানান, আমাদের কাশ্মীরে চার দিন থাকার কথা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় টিভিতে খবর দেখেই আর এখানে থাকার কথা ভাবছি না। বুঝতে পারছি কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। 

Advertisement

কাশ্মীরে থাকার সাহস দেখাতে পারছেন না ছত্তিশগড় থেকে আগত পূণ্যার্থী মণীশ আগরওয়াল। পরিবার নিয়ে কোনও মতে বাড়ি ফিরতে পারলে বেঁচে যান। খোঁজ করছেন বিমানের। এনডিটিভিকে জানান, "আমার হেলিকপ্টারে অমরনাথ যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু, শুক্রবার টিভিতে সব দেখে পরিবার কোনও রকম ঝুঁকি নিতে বারণ করছে। তাই এখন যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে চাই। ওখানেই এক ব্যক্তি বলেন, "গত ২০ বছর ধরে অমরনাথ যাত্রা করছি। কিন্তু এধরণের পরিস্থিতি হয়নি। কেমন যেন সব অচেনা ঠেকছে।" 

"শান্তি বজায় রাখুন, গুজবে কান দেবেন না": আবেদন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালের

পর্যটকদের (tourists) তুলনায় অমরনাথ যাত্রীদের (Amarnath pilgrims), কাছে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে আসা তুলনামূলক সহজ বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। কারণ, পহেলগাও বেস ক্যাম্প থেকে দক্ষিণ কাশ্মীর বেস ক্যাম্পে পৌঁছলেই জওহর টানেল (Jawahar Tunnel) পড়বে। যা কাশ্মীর থেকে বেড়িয়ে আসার পথ। 

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। নাশকতার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অমরনাথ (Amarnath) যাত্রাকে লক্ষ্য করে হামলা করতে চাইছে। শুক্রবার এই কথা জানায় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনার কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কেজিএস ধিঁলো বলেন, ‘‘গত তিন-চার দিন ধরেই গোয়েন্দা বাহিনীর পাকা খবর ছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি বাহিনী ও পাক সেনা অমরনাথ যাত্রায় হামলা করতে পরিকল্পনা করছে।'' 

এরপরই অসামরিক উড়ান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (aviation regulator, DGCA) শুক্রবার বিমান সংস্থাগুলিকে বিশেষ পরামর্শ দিয়। ডিজিসিএ জানায় শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিমান চালানোর জন্য বিমান সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে। 

গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ বজায় রাখতেই কেন্দ্র এই কৌশল অবলম্বন করেছে বলে দাবি পিডিপি (PDP) ও এনসি-র(NC)। কাশ্মীরের সাংবিধানিক সুরক্ষাকবচ ছিনিয়ে নিতেই কেন্দ্রের এই নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা বলে দাবি করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি। এনসি নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ‘অমরনাথ যাত্রায় হামলার আশঙ্কা থাকলে কেন নিরাপত্তার নামে গুলমার্গের সব হোটেল খালি করে দেওয়া হচ্ছে?' এই পরিস্থিতে গুজব ও আতঙ্ক না ছড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আবেদন করেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সংবিধান সংশোধনেরও কোনও খবর নেই বলে দাবি করেন তিনি। 

Advertisement

সরকারি আশ্বাস বা শাসক-বিরোধী তরজা চলছে। কিন্তু আতঙ্কের পরিবেশ থেকে এখন কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরার তাগিদ উপত্যকার পর্যটক বা অমরনাথ যাত্রীদের। 

Advertisement