সোমবার ইমরান খান জানান, কাশ্মীর ইস্যুকে সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাবেন তিনি (ফাইল)
নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan), পাশাপাশি আফগানিস্তানের ব্যবসায়ীক রাস্তাও বন্ধ করতে চান তিনি, মঙ্গলবার ট্যুইটে এমনই জানিয়েছেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যে মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তের আবহেই এই মন্তব্য। পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ হোসেন ট্যুইটে লেখেন, “ভারতের সঙ্গে আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করছেন প্রধানমন্ত্রী, আফগানিস্তানে ভারতের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রটি নিয়েও ক্যাবিনেটে প্রস্তাব করা হয়েছে সিদ্ধান্তগুলির আইনী পদ্ধতি বিবেচনাধীন...শুরুটা করেছেন মোদি, শেষ করব আমরা”।
FATF-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের কালো তালিকায় পাক সন্ত্রাসবাদ
৫ অগস্ট কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপ করে ভারত, আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান, সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করে তারা। তাদের বেশীরভাগ সদস্যই ভারতের অবস্থানে সহমত প্রকাশ করে, যে কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার জানান, কাশ্মীর ইস্যুটি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরবেন তিনি। ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “প্রথমত, আমি মনে করি, সমস্ত দেশে কাশ্মীরীর সঙ্গে থাকা উচিত। আমি এটা বলেছি যে, আমি একজন কাশ্মীরের দূত হিসেবে কাজ করব”।
ইমরান খানকে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরামর্শ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
আগামী মাসেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা পাক প্রধানন্ত্রীর। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বকে এটা জানাব, যে সমস্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়টি জানাব। আমি বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে জানাব”।
গত ফেব্রয়ারিতে পুলওয়ামায় হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ, তার পরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে বিমান হানা চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই সময় ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। জুলাইয়ে আবার তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরে পাকিস্তান। চিনের অনুরোধে এখটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। যদিও কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেই বৈঠক শেষ হয়।
(পিটিআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে)