Kashmir Update: জম্মু ও কাশ্মীর খুব দ্রুত স্বাভাবিক রাজনৈতিক মর্যাদা. ফিরবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিকে স্বাগত জানায় আমেরিকা
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)ভারত এবং পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে একদিন আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানালেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দিকে লক্ষ্য রাখছেন তাঁরা, এবং “আটকের খবর এবং সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার খবরে তাঁরা উদ্বিগ্ন”। মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র বলেন, “আমরা মানবধিকারের প্রতি সম্মান,, আইনি প্রক্রিয়ায় সম্মতি এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানাই”। পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা প্রয়োজন এবং সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে”।
“পাকিস্তানের স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত,জঙ্গিদের মদত দেওয়া নয়, প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র
মার্কিন প্রশাসনের ওই মুখপাত্র বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর খুব দ্রুত স্বাভাবিক রাজনৈতিক ছন্দে ফিরবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বিবৃতিকে আমরা স্বাগ জানাই...কাশ্মীরসহ অন্যান্য উদ্বেগপ্রবণ বিষয়গুলি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পারষ্পরিক আলোচনাকে আমরা সমর্থন জানাই”।
তিনদিন আগে ফ্রান্সের বাহরাইচে G7 সম্মেলনের ফাঁকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানান, ১৯৪৭ এর আগে এবং দুই দেশের মধ্যে সমস্ত বিষয়ই দ্বিপাক্ষিক..নির্দিষ্ করে তৃতীয়.পক্ষের মধ্যস্থতার কোনওরকম সম্ভাবনা খারিজ করে দেন তিনি।
G7 Summit: “প্রধানমন্ত্রী মোদি সত্যিই মনে করেন এটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে”: কাশ্মীর নিয়ে বললেন ট্রাম্প
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয় রয়েছে, আমরা তৃতীয় কোনও দেশকে বিরক্ত করতে চাই না। দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এগুলি আলোচনা এবং সমাধান করতে পারব”।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সত্যিই মনে করেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে...দুই ভদ্রলোকের (প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ইমরান খান) সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক এবং আমি এখানে। আমি মনে করি এটা (সমস্যার সমাধান) তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারবে”।
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রসংঘে চিঠি লেখে পাকিস্তান, জম্মু ও কাশ্মীরে “ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক মানবধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে” বলে অভিযোগ করে তারা। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জবাবে বলা হয়েছে, “সেই চিঠির কোনও মূল্য নেই”।