শনিবারই সরকার এবং রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।
নয়াদিল্লি/ শ্রীনগর: রবিবার আবার কার্ফু (Curfew) জারি হল শ্রীনগরে (Srinagar)। সূত্রানুসারে তেমনটাই জানা গিয়েছে। শনিবারই সরকার এবং রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। সূত্র জানাচ্ছে, পুলিশ গাড়িতে করে ঘুরে এলাকায় লাউড স্পিকারে ঘোষণা করেছে, সব মানুষ যেন বাড়ি ফিরে যান। দোকানদারদের বলা হয় শাটার নামিয়ে দিতে। অথচ শনিবারই রাজ্যের পুলিশ টুইট করে জানায়, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। কোনও হিংসাত্মক ঘটনা সেখানে ঘটছে না। শনিবার রাজ্য পুলিশ টুইট করে জানিয়ে দেয়, ‘‘কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনার খবর নেই কেবল সামান্য পাথর ছোড়ার ঘটনা ছাড়া। সেই ঘটনাকেও অঙ্কুরেই বিনাশ করা হয়েছে সেখানে দাঁড়িয়েই।'' এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভাল নয়। দেশের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। রাহুলের এহেন দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের পক্ষে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয পরিস্থিতি একেবারেই শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
অশান্তি বাড়ছে কাশ্মীরে! রাহুলের দাবি উড়িয়ে পুলিশ জানাল পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ
কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রমনিয়াম ও বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিকরা মানুষের কাছে আবেদন করেছেন কাশ্মীরে গুলি চলা সংক্রান্ত কোনও গুজবে কান না দিতে। এও বলা হয়েছে শ্রীনগর ও অন্য শহরে শনিবার ইদের কেনাকাটার জন্য রাস্তঘাটে ভালই ভিড় হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র শনিবার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে শ্রীনগর ও বারামুলায় কয়েকটি প্রতিবাদের ঘটনা ঘটলেও কোথাওই ২০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হননি। কাশ্মীর উপত্যকায় ১০,০০০ মানুষ পথে নেমেছেন প্রতিবাদ প্রদর্শনে— এমন দাবিকে তিনি ‘‘মনগড়া ও অসত্য'' বলে দাবি করেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওমর আবদুল্লার দল
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ প্রায় ৪০০ রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সপ্তাহের গোড়াতেই বিজেপি সরকারের তরফে সংসদে বিল পেশ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব নিয়ে। সংসদের উভয় কক্ষেই তা পাস হয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ন্যাশনাল কনফারেন্স। দলের দুই সংসাদ আকবর লোন ও হাসনাইন মাসুদি এই মামলা দায়ের করেন। দলের বক্তব্য, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ‘বেআইনি'।
এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পরই সেখানে চলে গিয়েছেন। শনিবারও তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে একটি ভিডিওতে। যা থেকে স্পষ্ট এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ সবাইকে জানানোর চেষ্টাতেই ওই ভিডিও তোলা হয়েছে।