জম্মু: দলের বহু দিনের দাবি পূরণ হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370) বিলোপের সঙ্গে সঙ্গেই এক দেশ এক সংবিধানের ধারা কার্যকর হয়েছে গোটা উপত্যকায়। বিলোপ হয়েছে কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকার। এখন থেকে ভূস্বর্গের আকাশে শোভা পাচ্ছে তিরঙ্গা। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) উন্নয়নের জোয়ার আসবে। বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ই অগস্ট আক্ষরিক অর্থেই এবার স্বাধীনতার স্বাদ পাবে সেরাজ্যের বাসিন্দারা। যা উপত্যকার মাটিতেই উদযাপন করকতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির (BJP) কাশ্মীরের রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন আগামী ১৫ই আগস্ট গোটা উপত্যকায় দলের তরফে পালিত হবে ‘জশন-ই-আজাদি' (Jashn-e-Azadi)। ইতিমধ্যই প্রস্তুতি সম্পন্ন। জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না। বিভিন্ন গ্রাম প্রধানদের কাছে এই উদযাপনের বার্তা পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আধিকারিকদের বিভক্ত করতে প্যানেল গঠন
বিজেপির (BJP) কথায়, ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কাশ্মীরকে বদ্ধভূমি করে রাখা হয়েছিল। এখন অবস্থার বদল হবে। দেশের মূল ভূখণ্ডের মানুষের মতোই সেখানকার বাসিন্দারা সুযোগ সুবিধা পাবেন। খুশি উপত্যকার বাসিন্দারা। দাবি পদ্ম শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে তাই দলীয় কৃত্বিত্বের বিষয়টিকে এই উদযাপনের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি।
দলের রাজ্য সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অশোক কৌল মনে করেন জম্মু কাশ্মীরের প্রতিটা জেলা, মহল্লা ও পঞ্চায়েতে বিজেপির তরফে ‘জশন-ই-আজাদি' (Jashn-e-Azadi) পালন করা হবে। দল মনে করছে এতে সেখানকার মানুষের পাশে থাকার যেমন বার্তা দেওয়া যাবে, তেমনই বিরোধীদেরও অনেক জবাব দেওয়া সম্ভব।
সমঝোতার পর এবার থর এক্সপ্রেস, কাশ্মীর ইস্যুর প্রতিবাদে পাকিস্তানের পদক্ষেপ
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অশোক কৌল বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ায় এখানকার মানুষ সমাধিকার পেল। সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা এবার তারা ভোগ করবে। তাই রাজ্যের সব বাসিন্দার উদযাপনে সামিল হওয়া প্রয়োজন।' রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতে শান্তি বজায় রাখার জন্য মানুষকে ধন্যবাদও দেন তিনি।
উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। ফলে এখন থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের মতোই সুযোগ সুবিধা পাবে তারা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হল, জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হবে। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না।