নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণ সামনেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন।
শ্রীনগর: গত ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরের (Kashmir) রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি ছিলেন। অবশেষে তাঁদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে চলেছে। তবে পর্যায়ক্রমে। জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের এক উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন। জম্মুর (Jammu) নেতাদেরও একটি অংশ গৃহবন্দি ছিলেন। তাঁদের বুধবারই মুক্ত করা হয়েছে। নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণ সামনেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। যা পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়। ক'দিন আগেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘোষণা করেছে সরকার। যে কাশ্মীরের নেতারা বন্দি হয়ে রয়েছেন, তাঁদের কবে ছেড়ে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপালের উপদেষ্টা ফারুক খান।
তিনি জানিয়েছেন, ‘‘হ্যাঁ, একে একে প্রত্যেকের বিষয় আলাদা করে বিশ্লেষণ করে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।''
৩৭০ ধারা বাতিলের পর রাজ্যের প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে হয় আটক করা হয় নয়তো গৃহবন্দি করা হয়। তাঁদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাও রয়েছেন। গত ৫৮ দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও।
নিরাপত্তার কারণেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত আগস্টে মেহবুবা মুফতির কন্যা সানা লিটজিয়া জাভেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান, তিনি তাঁর মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদবিগ্ন, কেননা তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ জানান, কাশ্মীরে মানুষকে পশুর মতো খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানবাধিকার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।
পরিস্থিতি দেখে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকা জানায়, তারা বন্দিদের রিপোর্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কাশ্মীর। যদিও এখনও কিছু কিছু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে। সমস্ত দোকান এখনও খোলেনি। স্কুলেও উপস্থিতির হার কম।
আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। ওইদিনই গণনা হবে। ২৬,০০০ পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দেবেন।