আদতে বুদগামের এই বাসিন্দা গত দশ বছর ধরে থাকেন তাহেরপুরে।(ছবি প্রতীকি)
হাইলাইটস
- কয়েক দিন আগে তাঁকে মার খেতে দেখা গিয়েছিল
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও
- প্রশ্ন উঠেছিল কেন মার খাচ্ছেন কাশ্মীরের এই যুবক
কলকাতা: কয়েক দিন আগে তাঁকে মার খেতে দেখা গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। প্রশ্ন উঠেছিল কেন মার খাচ্ছেন এই যুবক? কাশ্মীরের বাসিন্দা হওয়ার ‘অপরাধে'ই কি আক্রমণ নেমে এসেছে। শাল বিক্রেতার মার খাওয়ার কারণ জানার আগেই জানা গেল বাড়ি ফিরতে চান যুবক। না তিনি উপত্যকায় ফিরে যেতে চাইছেন ভাবলে মস্ত ভুল হবে। নদিয়ার তাহেরপুরেই ফিরে যেতে চান জাভেদ আহমেদে। এখন সেটাই তাঁর বাড়ি। সেটাই তাঁর নিজের জায়গা। আদতে বুদগামের এই বাসিন্দা গত দশ বছর ধরে থাকেন তাহেরপুরে। মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কোনও এক অচেনা জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন তিনি। সেখান থেকেই এনটিভিডিকে তিনি জানালেন, "আমি দশ বছর ধরে তাহেরপুরে থাকি। ওখানকার লোকজন সকলেই খুব ভাল। সবার সঙ্গেই মিলে মিশে আছি আমি। সেদিন একটা খারাপ ঘটনা ঘটেছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন মিটে গিয়েছে। আমি নিজের বাড়িতে ফিরতে চাই"।
স্কুলে 'একঘরে' করে দেওয়া হল তাঁর সন্তানদের, অপমানে শহর ছাড়ার কথা ভাবছেন কাশ্মীরি চিকিৎসক
মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার। পেশায় শাল বিক্রেতা জাভেদ তাহেরপুরের এক বাসিন্দার থেকে টাকা আনতে যান। তখন ওই ব্যক্তি তাঁকে ফেসবুকের একটি পোস্ট দেখতে বলে। যুবক দেখতে পান জাভেদ খান নামে এক ব্যক্তি নিজের প্রোফাইলে কিছু কুরুচিপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি স্থানীয় ব্যক্তিকে বলেন এটা অন্য কারও প্রোফাইল বা ভুয়ো প্রোফাইল। একথা বলে ফিরে আসেন জাভেদ। ততক্ষণে পোস্টের বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই চলে আসেন জাভেদের বাড়ি। শুরু হয় বচসা। কোনও কথা না শুনেই তারা মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসে পুলিশ যাভেদ এবং বাকিদের আপাতত অন্যত্র গিয়ে থাকতে বলে। সেই তখন থেকেই বাইরে জাভেদ। তিনি বলেন, "আমার ভুল থাকতে পারে। আমায় যারা মেরেছে তাদেরও ভুল থাকতে পারে। কিন্তু পুলিশকে বলছি আমি যাতে ফিরতে পারি সে ব্যবস্থা করেও দিন। আমি নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই"। কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি ফলত কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি পুলিশ।