রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
1. দোষী সাব্যস্ত হয়েছে প্রাক্তন রাজস্ব অধিকর্তা সাঞ্জি রাম, তার বন্ধু প্রবেশ কুমার, আনন্দ দত্ত, তিলক রাজ, দীপক খাজুরিয়া এবং সুরেন্দর বর্মা। এর মধ্যে সাঞ্জি রাম সহ আরও দুজনকে বাকি জীবন জেলেই কাটাতে হবে।
2.জুন মাসের ৩ তারিখ শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গোটা পর্বটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। আদালত জানায় আজ মামলার রায়দান হবে। সেই মতো রায় দি,ল আদালত।
3. গত বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ জম্মুর কাঠুয়া জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই শিশুকন্যাকে অপহরণ করে স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গোটা ঘটনায় উত্তাল হয় দেশ।
4. দিন সাতেক বাদে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারও তিন দিন বাদে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বয়স নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকায় এখনও তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সে নাবালক কিনা তা খতিয়ে দেখবে জম্মু-কাশ্মীরের হাইকোর্ট। তারপরই এই মামলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা।
5. গনধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামে আসমুদ্রহিমাচল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন রাজস্ব অধিকর্তা সাঞ্জি রাম মার্চ মাসের ২০ তারিখ আত্মসমর্পণ করে।
6. ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করে বলে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নেপথ্যে আরও একটি বিষয় রয়েছে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
7. গোটা আদালত চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না যায় তা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।
8. এই ঘটনায় তার ছেলে বিশাল, বন্ধু আনন্দ দত্ত এবং দুজন বিশেষ পুলিশ অফিসার যাদের নাম দীপক খাজুরিয়া এবং সুরেন্দর বর্মা সহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি পুলিশের।
9.এই ঘটনাকেও ঘিরে বিজেপি এবং তাদের তৎকালীন জোট শরিক পিডিপি'র মধ্যে মতোভেদ দেখা দেয়। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী চৌধুরি লাল সিং এবং প্রকাশ গঙ্গা অভিযুক্তদের হয়ে মিছিলে হাঁটেন। আজ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেন, "এই রায়কে আমি স্বাগত জানাই। তাছাড়া এরকম একটা নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তা আমাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আইনের ফাঁক ফোঁকরের সুযোগ যাতে কেউ নিতে না পারে তা আমাদের দেখতে হবে"।
10. আইন শৃঙ্খলা জনিত সমস্যার কারণে মামলা পাঠানকোটে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
নাবালক ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের গুরুদাস পুরের জেলে রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে অভিযুক্তদের হয়ে দু';জনের বেশি আইনজীবী লড়াই করতে পারবেন না।