ঘটনার পর গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ।
নিউ দিল্লি: নাবালক নয় কাঠুয়াকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। জম্মুর কাঠুয়ায় আট বছরের শিশুকন্যাকে প্রথমে গণধর্ষণ ও পরে খুন কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তর বিচার হবে সাবালক হিসেবেই। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তার বয়স 19 থেকে 23 বছরের মধ্যে। নিজেকে নাবালক দাবি করে রেহাই পেতে চেয়েছিল সে । কিন্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে খারিজ হয়ে গেল সেই দাবি। এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও 7 জন। আইন-শৃঙ্খলা সহ কয়েকটি কারণে মামলার শুনানি জম্মুর আদালতের বদলে হবে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে।
কয়েকদিন আগে ওই অভিযুক্ত দাবি করে সে নাবালক। পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। তাতে দেখা যাচ্ছে সে মোটেই নাবালক নয়। এর আগে সেই নির্ভয়া কান্ড থেকে শুরু করে এ ধরেনর বিভিন্ন ঘটনায় নাবালক হওয়ার দোহাই দিয়ে রক্ষা পেতে চেয়েছে অনেকেই। নির্ভয়ার ঘটনার মূল দোষীও একই কারণে মাত্র কয়েক বছর জেলে থাকার পর মুক্ত হয়ে যায়। তারপরে আইনে বদল ঘটায় সরকার। ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে নামিয়ে আনা হয় বয়সের সীমা।
গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই কাঠুয়া কাণ্ড। প্রথমে তার গ্রাম থেকে ছোট্ট শিশুকে অপহরণ করা হয়। এরপর নেশাগ্রস্থ করে রেখে শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। টানা সাত দিন পর মৃত্যু হয় ছোট্ট মেয়েটির। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে গোটা দেশ। আঁচ পড়ে বিচার প্রক্রিয়াতেও। পরিস্থিতি এমন হয় যে মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি ওঠে। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। মে মাসে সর্বোচ্চ আদালত মামলা পাঠানকোটে সরানোর নির্দেশ দেয় । এবার সেখানেই শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।
ব্যাপারটা অন্য একটা দিকও আছে । তদন্ত শুরু করে পুলিশ দাবি করে উপত্যকায় হিন্দু বেশি এমন জায়গা থেকে মুসলিম বসতি সরানোও ঘটনার নেপথ্যে একটা বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে মিছিল হয় জম্মুর রাস্তায়। তাতে পা মেলান রাজ্যের দুই মন্ত্রী। সেটিও হয়ে ওঠে বিতর্কের অন্যতম বিষয় । পরে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করায় সে রাজ্যের সরকার ভেঙে যায়। শিশুর পরিবারের হয়ে আদালতে সওয়াল করা অইন্যজীবী দীপিকা রাওয়াতকেও পড়তে হয়েছে হুমকির মুখে।