Kaushambi Gang Rape: ধানক্ষেতের মধ্যেই একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা।
লখনউ: ফের এক গণধর্ষণের সাক্ষী হল দেশ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশম্বী জেলায় এক ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ (UP Gang Rape) করল ৩ দুষ্কৃতী। শুধু গণধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি তাঁরা, গোটা ঘটনাটি একটি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেয় তাঁরা। অভিযুক্তদের মধ্য একজনকে (Kaushambi Gang Rape) ধানক্ষেতের মধ্যেই হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু বাকি দু'জন পালাতে সক্ষম হয়। মূল অভিযুক্তকে ধরে ফেলার পর তাঁকে এমন গণধোলাই দেয় গ্রামবাসীরা যে তাঁর মৃতপ্রায় অবস্থা। লখনউ থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ভিডিওতে এক অভিযুক্তকে গণধোলাইয়ের পর রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। বছর কুড়ির মহম্মদ নাজিমকে গণরোষের হাত থেকে বাঁচার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি ওই যুবকের। উত্তেজিত জনতা গণধর্ষণে অভিযুক্ত ওই যুবককে হাতের নাগালের মধ্যে পেলেও পগারপার হয়েছে আরও ২ অভিযুক্ত। মহম্মদ নাজিমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্য দুই অভিযুক্ত মহম্মদ চটকা ও বাদকার সন্ধান চালানো হচ্ছে।
জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে ভিডিও করা হল, ধৃত ৩
কৌশম্বী জেলার বাসিন্দা এই কিশোরী পুলিশকে জানায় যে, পাশের গ্রামে পশুপালনের জন্য ঘাসপাতা সংগ্রহ করতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হয় ৩ ব্যক্তি । ওই ৩ জন তাঁকে একটি নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে নিগৃহীতা।
"আমি একটি বাগানের মধ্যে ঢুকেছিলাম। সেইসময়েই ওরা আমাকে পেছন থেকে আক্রমণ করে এবং আমাকে জাপটে ধরে। ওরা আমার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ কাজ করে। প্রথমে আমি পালাতে চেষ্টাও করি কিন্তু আমি মাঠের মধ্যেই পড়ে গিয়েছিলাম", জানিয়েছে নিগৃহীতা কিশোরী।
পাশের ঘরে সন্তানদের আটকে রেখে আত্মীয়রা মিলে ধর্ষণ করল মা'কে
তবে জানা গেছে, ঘটনার পর যখন ওই কিশোরী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে আসে তখন প্রথমে পুলিশ কর্মীরা তাঁর কথায় কোনও গুরুত্বই দেয়নি। বরং থানার মধ্যে তাঁরা নিগৃহীতা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে যদিও এই অভিযোগ পেয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মীকে আপাতত সেখানকার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মীরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেন এবং এমনকি মেয়েটির অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন।
প্রয়াগরাজ এলাকার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সুজিত পান্ডে জানিয়েছেন, পাঁচটি দল পলাতক দুই অভিযুক্তের সন্ধান করছে। "অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পাঁচটি দল গঠন করেছি। আমরা দ্রুত এটির সমাধানে প্রয়োজনীয় যা কিছু করার তাই করব" বলেন তিনি।ইতিমধ্যেই নিগৃহীতা কিশোরীর একটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।