এই মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক ঘোষণা হতে পারে।
নিউ দিল্লি: - এই মাঠেই হওয়ার কথা তেলাঙ্গানার ক্যাবিনেট বৈঠক। সরকারি সভা হলেও রাজনৈতিক তাৎপর্য বিরাট। মনে করা হচ্ছে এই সভায় যে পরিমাণ ভিড় হবে তা গোটা দেশে আগে কখনও হয়নি।
- মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ছেলে তথা তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী কে টি রামারাও এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এই মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক ঘোষণা হতে পারে। আর সেই ঘোষণার পর রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও সরগরম হবে।
- রাজনৈতিক ঘোষণার কথা বললেও বিধানসভা ভেঙে ফেলা হবে কি না তা জানাননি কে টি।
- আগামী বছর মে মাসে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তেলাঙ্গানা বিধানসভার। আর লোকসভার সঙ্গেই সে রাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, তার আগেই বিধানসভা ভেঙে ফেলার ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
- আজ চার বছরে পা দিচ্ছে তেলাঙ্গানার বর্তমান সরকার। এই সময়ের মধ্যে সরকার কী ধরনের কাজ করল তা নিয়েই হচ্ছে জনসভা।
- অন্যদিকে সে রাজ্যে যে এবছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে সে কথা নিজের দলের সদস্যদের জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও।
- বিরোধীদের দাবি, তাদের শক্তি বাড়তে থাকাতেই ভয় পেয়ে বিধানসভা ভেঙে ফেলার কথা ভাবছে শাসক দল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডিও এমনটাই মনে করেন।
- এমন দাবি মানতে চায়নি শাসক দল। চন্দ্রশেখর কন্যা তথা সাংসদ কালভাকুন্তলা কবিতার কথায়, "রাজ্যে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। আমরা এ রাজ্যের মানুষের জন্য যা করেছি তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত।"
- কে টি-ও মনে করেন বিরোধী দল একজোট হয়ে কিছু করতে পারবে না।
- এই সভার আগে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। তা থেকেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা বিধানসভা ভেঙে সরাসরি নির্বাচন করতে চান চন্দ্রশেখর। কারণ, বিধানসভা ভাঙার পরও যদি ভোট হতে দেরি হয় তাহলে টিআরএসের উপর চাপ বাড়বে।