বিলবোর্ডে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সঙ্গে অভিনন্দন বর্তমানের ছবি ছিল।
হাইলাইটস
- সেনাবাহিনী হল গণতন্ত্রের নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক অংশ, জানাল কমিশন
- দিল্লিতে প্রচারের বিলবোর্ডে অভিনন্দনের ছবি রয়েছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে
- অভিনন্দনের মুক্তি যে মোদীর জন্য হয়েছে, তা বহুবার বলেছেন বিজেপি নেতারা
নিউ দিল্লি: গণতন্ত্রে সেনাবাহিনী হল সম্পূর্ণ 'অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ অংশ', এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) শনিবার রাজনৈতিক দলগুলিকে সাফ জানিয়ে দিল, নির্বাচনের প্রচারে কোনওভাবেই সেনাবাহিনী বা অন্য কোনও প্রতিরক্ষা কর্মীর ছবি তাদের পোস্টার অথবা হোর্ডিং-এ ব্যবহার করা যাবে না। দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) ও অমিত শাহের (Amit Shah) ছবির সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের (Abhinandan Varthaman) ছবি দেওয়া বেশ কিছু বিলবোর্ড নির্বাচনী প্রচারের জন্য বিজেপি ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ ওঠার পরই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যে বিলবোর্ডগুলোতে লেখা রয়েছে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে থাকলে সবকিছু সম্ভব"। আসল বাক্যটি হল- মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (Modi hai toh mumkin hai)। যা, এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্লোগানও বটে।
আরও পড়ুনঃ কং-সিপিএম আসন সমঝোতা নিয়ে হস্তক্ষেপ রাহুল গান্ধী-সীতারাম ইয়েচুরির
প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ন্ত্রণরেখার আকাশে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সামরিক রেষারেষি চলার সময় পাকিস্তান আটক করেছিল। ৬০ ঘন্টা পাকিস্তানের হেফাজতে থাকার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে বিজেপির মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সহ একাধিক বিজেপি নেতা ও নেত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'সাফল্য' হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। মোদী না থাকলে যে এমনটা সম্ভব হতো না, এই কথাও তাঁরা বলেছিলেন একাধিকবার।
নির্বাচন কমিশন তাদের নোটিসে ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বরের একটি চিঠি ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। ওই নোটিসে বলা হয়, "এখানে এই কথাটির স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাক যে, দেশের সেনাবাহিনী হল দেশের সীমান্ত, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার অভিভাবক। তারা অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ অংশ এই আধুনিক গণতন্ত্রের। তাই রাজনৈতিক দলগুলি ও তাদের নেতাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত নিজেদের নির্বাচনী প্রচারে সেনাবাহিনীর উল্লেখ করার আগে"।
ওই নোটিসে আরও বলা হয়, "তাই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন নির্বাচনী প্রচারে কোনওভাবে সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা কর্মীদের ছবি ব্যবহার না করেন এবং করে থাকলেও অভিলম্বে তা যেন সরিয়ে দেন"।