Read in English
This Article is From Aug 11, 2019

‘হৃদয়বিদারক’, বন্যা বিধ্বস্ত কেরল ঘুরে মন্তব্য রাহুলের

ত্রাণ বিলি নিয়ে রাহুল গান্ধি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from Agencies)

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন রাহল গান্ধি

কোচি:

বন্যা বিপর্যস্ত কেরল (Kerala)। গত কয়েকদিনের ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৬৭ জনের প্রাণ গিয়েছে। জলের তলায় কেরলের ওয়ানাদ-ও (Wayanad), জন জীবন ব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে রবিবার শুরু হল  রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) দু'দিনের কেরল সফর। নিজের কেন্দ্র ওয়ানাদে (Wayanad) গিয়ে বন্যা দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্যেই মানুষ সেখানে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন রাহুল গান্ধি নীলাম্বুর, মামপাদ, এডাভান্নাপ্পাদার ত্রাণ শিবিরগুলো ঘুরে দেখেন। মালাপ্পুরামের জেলাশাসকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেন। পরে তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘ওয়ানাদের মানুষ যা হারাল তা হৃদয়বিদারক (Heart-Breaking)। ফের তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।'

গত সপ্তাহেই বন্যা বিধ্বস্ত (Flood-Ravaged) কেরলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রাহুল গান্ধি  (Rahul Gandhi) । কিন্তু, ত্রাণ বিলিতে অসুবিধে হতে পারে এই আশঙ্কায় সফর পিছিয়ে দেন কংগ্রেস সাংসদ। রবিবার সকালে ট্যুইটে তিনি জানান, ত্রাণ ব্যবস্থা পর্যালোচনায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি।

জল থৈ থৈ কেরলের ওয়ানাদ (Wayanad)। বন্যাকবলিত নিজের কেন্দ্রকে ভয়ানক বলে ব্যাখ্যা করেন রাহুল গান্ধি। বলেন, ‘বন্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন।'

বৃষ্টি থেমেছে। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বৃষ্টি শুরু হবে। ফলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিন রাজ্যের অবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। তিনি জানান, ওয়ানাদ, কুন্নুর ও কাসারগড় জেলায় লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। বাকি ছয়'টিতে রয়েছে কমলা সতর্কতা। জলের তলায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ। এই অবস্থায় কিছু সমাজ বিরোধী রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করতে নিষেধ করছে বলে অভিযোগ বিজয়নের। বৈঠকে রাগে ফেটে পড়েন তিনি।  

মুখ্যমন্ত্রীর (CM) কথায়, ‘আমি তহবিলে সাহায্যের আবেদন জানায়নি। কিন্তু, কিছু লোক কেরলের স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে। ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করতে নিষেধ করছে। প্রতিটা রাজনৈতিক দলকে বলবো এই ধরণের প্রচারের বিরোধীতা করতে।'

Advertisement

কেরালায় এখনও পর্যন্ত বন্যায় ৬৭ জন মারা গিয়েছেন। ৫৭ জন নিখোঁজ। রাজ্যের দক্ষিণভাগ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায়। ১.৬২১টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ২.৫৪ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ট্রেন ও সড়ক পরিবহন ব্যাহত। অতি বৃষ্টি ও বিমান বন্দরের টারম্যাকে জল জমে যায় শুক্রবার। ফলে কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ওই দিন বন্ধ ছিল। যদিও রবিবার নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা আগেই তা চালু করে দেওয়া হয়।

বৃষ্টির কারণে এর আগে কেরলগামী বেশকিছু ট্রেন বাতিল হয়েছিল। পরে একটি এরনাকুলাম বেঙ্গালুরু ট্রেন সেখানে যায়। যাতে ত্রাণ সামগ্রী মজুত ছিল।

Advertisement