This Article is From Jun 03, 2020

বাজিভরা আনারস খেয়ে মৃত গর্ভবতী হাতির মৃত্যুতে উত্তাল দেশ; মানুষ হিসেবে লজ্জিত নেটিজেনরা

সুরেন্দ্রন ও নীলকণ্ঠন নামে দুটি হাতিকে নিয়ে আসা হয় সেইখানে যেখানে এই হস্তিনী মুখ আর শুঁড় জলে ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সম্ভবত ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার জন্য।

বাজিভরা আনারস খেয়ে মৃত গর্ভবতী হাতির মৃত্যুতে উত্তাল দেশ; মানুষ হিসেবে লজ্জিত নেটিজেনরা

বন ছেড়ে খাবারের সন্ধানে নিকটস্থ এক গ্রামে গেলে সেখানেই বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেওয়া হয় হাতিটিকে। ফলটি তার মুখের মধ্যেই ফেটে যায়

কেরলে গর্ভবতী হাতির নৃশংশ মৃত্যু সারা দেশজুড়ে বিশাল ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় মানুষজন বাজি ভর্তি আনারস ওই হস্তিনীকে খেতে দিলে মৃত্যু হয় তার। বুনো ওই হাতি পালাক্কড় জেলার সাইলেন্ট ভ্যালির বন ছেড়ে খাবারের সন্ধানে নিকটস্থ এক গ্রামে যায়। সেখানেই বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেওয়া হয় তাকে। ফলটি তার মুখের মধ্যেই ফেটে যায় এবং তীব্র যন্ত্রণায় বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামেই ঘুরে বেড়াতে থাকে সে। ক্ষতবিক্ষত মুখে কিছু খেতেও পারেনি সে। অবশেষে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল সে, কিন্তু পারেনি। মারা যায় গর্ভবতী হাতিটি।

এই বীভৎস ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। হাজারে হাজারে মানুষ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। টুইটারে পশুর বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুর জঘন্য কাজের প্রতিবাদে একের পর এক স্কেচ এবং ছবি শেয়ার করেছেন মানুষ।

ছবি শেয়ার করে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সাক্ষরতার হার শিক্ষার প্রতিফলন ঘটায় না।"

বাচ্চার সঙ্গে মা হাতির কল্পির একটি ছবি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, "ঈশ্বরের নিজস্ব দেশেই কোথাও.... তবে কেরল নয়।" 

সমস্ত মানুষের হয়ে ক্ষমা চেয়ে একজন লিখেছেন, "মানুষ হিসেবে আমি লজ্জিত।" 

Another called for justice to be delivered in the case.

অভিনেতা এবং জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক রাষ্ট্রদূত রণদীপ হুদা ন্যায়বিচার চেয়ে একটি পোস্টে এই ঘটনাকে “সবচেয়ে অমানবিক কাজ” বলে অভিহিত করেছেন।

কর্মকর্তাদের সন্দেহ যে হাতিটি এপ্রিলের শেষ দিকে বা মে মাসের শুরুর দিকে আনারস খেয়েছিল। বন আধিকারিক আশিক আলি ইউ এনডিটিভিকে বলেন, “ঘটনাটি কখন ঘটেছিল তা আমরা জানি না। তবে হাতিটি অনাহারে ছিল আর শুকিয়ে আসছিল, সেই কারণে আমাদের সন্দেহ যে ঘটনাটি প্রায় ২০ দিন আগে ঘটেছিল।"

বন আধিকারিকরা হাতির মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ ২৫ মে হাতি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। সুরেন্দ্রন ও নীলকণ্ঠন নামে দুটি হাতিকে নিয়ে আসা হয় সেইখানে যেখানে এই হস্তিনী মুখ আর শুঁড় জলে ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সম্ভবত ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার জন্য। তাকে নদী থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে ওই দুই হাতিকে নিয়ে আসা হয়। তবে বাইরে বেরোতে পারেনি সে, ২৭ মে বিকেল ৪ টেয় হাতিটি মারা যায়।

পুলিশ এই নৃশংস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এখনও অবধি কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।

Click for more trending news


.