தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Aug 18, 2018

বন্যাবিধস্ত কেরালার আটকা পড়া মানুষ কীভাবে শেয়ার করবেন নিজেদের লোকেশন

বন্যা বিধ্বস্ত কেরালার মানুষদের পাশে এবার দাঁড়াল গুগলও। তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন অথবা ট্যাবলেট ব্যবহার করেই নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে অবগত করতে পারবেন উদ্ধারকারীদের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By (with inputs from IANS)

এসএসএস বা ভয়েস কলের সাহায্যেও প্লাস কোড শেয়ার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

নিউ দিল্লি:

বন্যা বিধ্বস্ত কেরালার মানুষদের পাশে এবার দাঁড়াল গুগলও। তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন অথবা ট্যাবলেট ব্যবহার করেই নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে অবগত করতে পারবেন উদ্ধারকারীদের। যে জায়গায় তাঁরা আটকা পড়ে রয়েছেন, কেবল হ্যাশট্যাগ ‘প্লাস কোড’ লিখে তা শেয়ার করতে হবে। যার ফলে তাঁদের অবস্থান সম্বন্ধে জানতে পারবেন উদ্ধাকারীদের দল। এবং, সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন তাঁদের কাছে। গুগল এই কথা জানিয়েছে শনিবার। এই প্লাস কোডটি ব্যবহারকারীরা এসএমএস বা ভয়েস কলের সাহায্যেও শেয়ার করতে পারবেন। এই প্লাস কোডে ছয় থেকে সাতটি সংখ্যা অথবা অক্ষর থাকবে। নির্দিষ্ট জায়গার প্লাস কোডটি তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেটে খোঁজার জন্য ব্যবহারকারীদের খুলতে হবে গুগল ম্যাপ। তারপর ওই জায়গায় স্পর্শ করে থাকতে হবে কিছুক্ষণ। যার ফলে গুগল ম্যাপে নির্দিষ্ট পিন নম্বরটি ফুটে উঠবে।

তারপর যে স্থানে রয়েছেন ব্যবহারকারী, সেই স্থানের ঠিকানার ওপর স্পর্শ করতে হবে। তারপর একটু স্ক্রল করে প্লাস কোডটি খুঁজে নিতে হবে।

রাস্তার ঠিকানা যেভাবে কাজ করে, ঠিক সেভাবেই কাজ করবে প্লাস কোড। বন্যায় বিপর্যস্ত যে কোনও মানুষ ও পরিবার গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে এই প্লাস কোডের সাহায্যে নিজের বিপন্মুক্ত করতে পারবেন বলে জানিয়েছ গুগল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এই মাসের শুরুতেই টুইটার জানিয়েছিল বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের যে যে অঞ্চলে ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল, সেখানে ‘টুইটার লাইট’ ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এবং, টুইটারের সাহায্যেই জানাতে পারেন তাঁদের সমস্যার কথা।

এই ভয়ঙ্কর বন্যায় কেরলে বিপর্যস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার থেকে অসীম তৎপরতার সঙ্গে হাত লাগানো হয়েছে উদ্ধারকার্যে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেরলের অন্তত দশ হাজার কিলোমিটার রাস্তা এই বন্যার ফলে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার অসহায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির ছাদে অথবা গাছের ডালে। ত্রাণ শিবিরের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে বন্যার জল। গোটা রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত এই বন্যায়।   

 

 

Advertisement
Advertisement