This Article is From Jan 29, 2020

CAA সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত কেরল বিধানসভা, "সহমত না হলেও পড়ছি...", বললেন রাজ্যপাল

কেরল বিধানসভায় CAA বিরোধী প্রস্তাবনা পাঠের সময় রাজ্যপাল Arif Mohammad Khan বলেন, "সরকারি অবস্থান মেনে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এটি পড়তে বাধ্য হচ্ছি"

CAA সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত কেরল বিধানসভা,

সিএএ-বিরোধী একটি প্রস্তাবনা পাঠ করেন Kerala Governor

হাইলাইটস

  • বাজেট অধিবেশনের শুরুতে আরিফ মহম্মদ খান সরকারি প্রস্তাবনা পাঠ করেন
  • ব্যক্তিগতভাবে সিএএ বিরোধী না হলেও এই প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি
  • মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এই প্রস্তাবনা পাঠ করতে হচ্ছে তাঁকে, বলেন রাজ্যপাল
তিরুবনন্তপুরম:

বুধবার কেরল বিধানসভায় শুরু হল বাজেট অধিবেশন। তবে তার আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভা কক্ষে (Kerala State Assembly)। অধিবেশন সূচনাকালে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল (Kerala Governor) আরিফ মহম্মদ খান বলেন, "আমি এই অনুচ্ছেদটি পড়ছি (সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা), কারণ মুখ্যমন্ত্রী চান যে আমি এটা পড়ি, যদিও আমি বিশ্বাস করি যে বিষয়টি (Citizenship Amendment Act) এই অধিবেশনের নীতি বা কর্মসূচির আওতায় নয়। তবু মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এটা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, তাই তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই আমি এই অনুচ্ছেদটি পড়ছি"। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের তত্ত্বাবধানে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে কেরলেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়। তারপর যদিও পঞ্জাব, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস করানো হয়েছে।

European Union: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আজ বিতর্ক, বৃহস্পতিবার ভোটের সম্ভাবনা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্রমশই কেরলে বিতর্ক বাড়ছে। বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের তরফ থেকে বাজেট অধিবেশনের সূচনায় একটি ভাষণ প্রস্তুত করে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয়, ওই ভাষণে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে সমালোচনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ওই ভাষণটি পড়ার সময় যে ব্যক্তিগত মত পোষণ করেন কেরলের রাজ্যপাল তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। কেরলের বিরোধী দল ইউডিএফ-এর বিধায়করা আরিফ মহম্মদ খানকে লক্ষ্য করে বিধানসভায় 'গো ব্যাক' এবং 'সিএএ প্রত্যাহার করুন' এই ব্যানার দেখান। জানা গেছে, বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপাল পৌঁছনো মাত্রই ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) বিধায়করা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েকজন বিধায়ক বিধানসভা কক্ষে আসার সময় তাঁর পথ আটকান বলেও খবর মিলেছে। পরে বিধানসভা ভবনের মার্শালরা রাজ্যপালকে সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে এসে তাঁর আসনে বসান। রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ শুরু করলে ইউডিএফ বিধায়করা বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরালা

দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিরোধী প্রস্তাব আনে কেরল সরকার। এই আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তাঁরা । এই দুই বিষয়েই রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে বিজয়ন সরকারের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এমনকি রাজ্যপাল বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব আনার সরকারি পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলেও বর্ণনা করেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে যেভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে তা নিয়েও রাজ্যপাল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে সুপ্রিম কোর্টে ওই আবেদন দায়ের করার আগে সরকার এ বিষয়ে কোনও তথ্য তাঁকে দেয়নি।

কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় বিষয় এবং সমস্ত রাজ্যকেই এই আইনটির বাস্তবায়ন করতে হবে। 

.