This Article is From Feb 24, 2020

ঋণ জর্জরিত দিন মজুর এখন কোটিপতি! ললাট বদলে দিল Kerala Christmas-New Year Lottery বাম্পার

কথায় আছে অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকায়ে যায়। কিন্তু কান্নুরের প্রৌঢ় পোরুন্নান রাজনের ক্ষেত্রে এই প্রবাদ খানিকটা ব্যতিক্রমী।একদা গলা অবধি ঋণ জর্জরিত কেরলের পোরুন্নান রাজন এখন ভাগ্যের ফেরে কোটিপতি!

ঋণ জর্জরিত দিন মজুর এখন কোটিপতি! ললাট বদলে দিল Kerala Christmas-New Year Lottery বাম্পার

সেই লাকি ড্র জিতে পরিবারের সঙ্গে পেরুন্নাম রাজন।

হাইলাইটস

  • ৩০০ টাকার টিকিট কিনে ১২ কোটির মালিক কেরলের এক প্রৌঢ়
  • ঋণগ্রস্ত এই মজুর ব্যাঙ্কে লোনের জন্য তদ্বির করতে যাওয়ার পথে কেনেন লটারি
  • সেই লটারির টিকিট ভাগ্য ফিরিয়েছে তাঁর
কান্নুর (কেরল):

কথায় আছে অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকায়ে যায়। কিন্তু কান্নুরের প্রৌঢ় পোরুন্নান রাজনের ক্ষেত্রে এই প্রবাদ খানিকটা ব্যতিক্রমী। একদা গলা অবধি ঋণ জর্জরিত কেরলের রাজন এখন ভাগ্যের ফেরে কোটিপতি (Kerala Man becomes Crorepati)! পেশায় দিনমজুর রাজন, ব্যাঙ্ক থেকে এযাবৎকাল তিনবার লোন নিয়েছেন। সময় মেনে কিছু কিছু করে পরিশোধ করছেন তিনি। চতুর্থ বার তাঁর লোনের দরকার দুটো কারণে-- ভাঙা বাড়ি পুনর্গঠন আর মেয়ের বিয়ের জন্য পুঁজি সঞ্চয়। সেই মোতাবেক লোন নিতে ব্যাঙ্কে দরবার করতে যাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। হঠাৎ কী মনে হল, মাঝ পথে কেটে ফেললেন ক্রিসমাস-নিউ ইয়ার বাম্পার লটারি টিকিট (Christmas-New Year Lottery Bumper)। সে সময় তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, তাঁর 'হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্ত' জীবন বদলে দেবে। সম্প্রতি এই বাম্পারের ফল ঘোষণা হয়েছে। সেই ফলে দেখা গিয়েছে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১২ কোটি টাকা জিতেছেন সেই 'অভাগা' পোরুন্নান রাজন। সোমবার ঘোষিত হওয়া লাকি ড্র-এর ফল শুনে যারপরনাই খুশি ওই প্রৌঢ়। তাঁর একটাই দাবি, "এবার আমি সব লোন শোধ করে দেবো। আর ছোট মেয়েকে ভালোভাবে পড়াতে পারবো। 

"প্রেমে পড়েছিলাম, বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল, " জীবনের আর কী অজানা তথ্য ফাঁস করলেন রতন টাটা?

এমনকি, কিছু টাকা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখে বাকি টাকায় বাড়ি সংস্কার করবেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন ওই 'কোটিপতি'। দুই সন্তান-সহ চার জনের পরিবার পোরুন্নানের। ভাঙা বাড়ি সংস্কার করতে এযাবৎকাল তিনি ব্যাঙ্কে দরবার করেছেন। পাশাপাশি বিবাহযোগ্য হয়ে উঠছে মেয়ে, এই ভাবনাও মনে জাঁকিয়ে বসেছিল পোরুন্নানের। তাই আরও টাকার তদ্বির করতে, লোন পেতে ব্যাঙ্কের দরবার করা শুরু করেন তিনি। এমনই এক শীতের দুপুরে হঠাৎ করে ৩০০ টাকার সেই বাম্পার টিকিট কিনে ফেলেছিলেন রাজন। তাঁর আয় অনুপাতে টিকিটমূল্য এতটাই বেশি ছিল যে, বাড়িতে কাউকে জানাননি সেই সিদ্ধান্ত। তবে এখন 'লাকি' স্বামী ও বাবার সান্নিধ্য পেয়ে খুশি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরাও। জানা গেছে, ৭.২ কোটি টাকা হাতে পাবেন ওই দিন মজুর। বাকি টাকা কর, জিএসটি আর ১০% হারে কমিশন কাটবে লটারি এজেন্সি। 

Kiss Day 2020: 'বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই'....বার্তা আজকের

তবে, এর আগেও একবার লটারি কেটেছিলেন পোরুন্নান। সেবার যদিও খুব কমে খুশি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তাই সেই কম মুল্যর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিসমাস-নিউইয়ার বাম্পার কাটেন কান্নুরের সেই প্রৌঢ় বলেই খবর। জানা গেছে, এই বাম্পারের দ্বিতীয় পুরস্কার ৫ কোটি। যা ১০ জন বিজেতার মধ্যে ভাগ হবে। আর তৃতীয় পুরস্কার ১ কোটি, যা ১০ লক্ষ টাকা হিসেবে ১০ জনের মধ্যে ভাগ হবে। 

Click for more trending news


.