তিন বছর আগে দুই মায়ের সন্তান ঘর ছেড়ে নাম লেখায় জঙ্গি দলে
তিরুবনন্তপুরম: শেষ দেখা তিন বছর আগে। তারপর আর কোনও যোগাযোগ নেই মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে। তাঁরা যে ISIS জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছেন, জানতেনও না তাদের মায়েরা। সম্প্রতি, তারা আত্মসমপর্ণ করেছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনির কাছে। NIA-এর কাছ থেকে সেই ছবি দেখে মেয়ে আর ছেলেকে চিনেছেন কেরালার বাসিন্দা বিন্দু সম্পত (Bindu Sampath) আর গ্রেসি থমাস (Gracy Thomas)। জানিয়েছেন, হাত, কপাল দেখে তাঁরা নিশ্চিত, এরা তাঁদেরই সন্তান। এখন দুই মায়ের একটাই আর্তি, কোনোভাবেই কি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়?
তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা বিন্দুর দাবি, "বোরখায় ঢাকা মহিলার কোলে বসে আছে তাঁর নাতনি। পাশে জামাই। এবং তিনি নিশ্চিত, ওই মহিলা তাঁরই মেয়ে চিন্নু ওরফে ফতিমা। ধর্মান্তরণের তিন বছর আগে মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তখন তাঁর মেয়ে নিমিশা আর জামাই বেক্সিন নামে পরিচিত। একটি সন্তানও ছিল তাদের। একবছর ধরে মেয়ে-জামাই ছবি আর গলার স্বর রেকর্ড করে পাঠিয়েছে। যদিও ছবি মান এতটাই খারাপ যে চিনতে কষ্ট হয়।
রাস্তায় দুষ্টুমি, ৪ বছরের মেয়েকে পিটিয়ে খুন সৎ বাবার
NDTV-কে এরপরেই প্রতিবেশী তামিলনাড়ুর পোলাচির বাসিন্দা বেক্সিনের মা গ্রেসি থমাস জানান, ছেলের শারীরিক গঠন চিনিয়ে দিয়েছে তাঁর ছেলেকে। বেক্সিনের হাতের গড়ন, কপাল তাঁর চোখ এড়াবে কী করে! বিন্দু মেয়ে-জামাই-নাতনিকে চেনার পাশাপাশি চিনতে পেরেছেন ব্দুল রশিদকেও। যে ২১ জন কেরলীয়কে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছিল আফগানিস্তানে। যদিও সে এখন মৃত।
বিন্দু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, "সংবাদমাধ্যম কি কখনও আবদুল রশিদের মরদেহের ছবি পেয়েছে? আমি যা দেখেছি তা বলছি। মেয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার সময় আবদুল রশিদ (এনক্রিপ্টড ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে) থেকে বার্তা পেয়েছি। এমনকি তার মৃত্যুর সংবাদও জেনেছিলাম একই উপায়ে।" প্রসঙ্গত, ২০১৮-র ২৬ নভেম্বর তিনি শেষবার মেয়ে-জামাইয়ের গলা শুনেছিলেন।
মায়ের গর্ভেই 'গর্ভবতী' সদ্যোজাত! তাজ্জব ডাক্তারবাবুরাও
আপাতত, মেয়ে-জামাই-নাতনির ঘরে ফেরার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে দিন গুণছেন বিন্দু। ভালো পোশাকও কিনেছেন তিনজনের জন্য। বাড়ি এলেই সবাইকে তাঁদের প্রিয় দোসা আর সম্বর কারি রেঁধে খাওয়াবেন নিজের হাতে।