শুঁড় আর মুখ জলে চুবিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই হাতি, সোশাল মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
হাইলাইটস
- কেরলে আবার হাতি মৃত্যুর ঘটনা! বিস্ফোরকভর্তি ফল খেয়েই মৃত সেই হাতি
- প্রাথমিক ময়না তদন্তে এমনটাই দাবি করা হয়েছে
- ইতিমধ্যে সন্তানসম্ভবা হাতির মৃত্যু ঘিরে জোর চর্চা নেট দুনিয়ায়
নয়া দিল্লি: বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খেয়ে মৃত সন্তানসম্ভবা হাতি (Pregnant elephant Death)। অমানবিক এই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের একইভাবে এক হস্তিনীর মৃত্যু ঘিরে ফের কাঠগড়ায় কেরল। জানা গিয়েছে দ্বিতীয় ঘটনা গত এপ্রিলে রাজ্যের কোল্লাম জেলার এক বনাঞ্চলের। ময়না তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক কিছু মুখে ফেটে যাওয়াতে সেই হাতির চোয়ালে ভাঙা ছিল। এনডিটিভিকে এমনটাই জানিয়েছেন এক বনকর্তা। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, "জখম অবস্থায় হাতিটিকে পাঠানাপুরম জঙ্গলে উদ্ধার করা হয়েছিল। অত্যন্ত দুর্বল থাকার জন্য ওকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ওকে ওষুধ দিয়ে শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওই অবস্থায় সে আরও কয়েক কিলোমিটার হাঁটা লাগিয়েছিল। তারপরেই মৃত্যু হয়েছে তার।" এদিকে, সন্তান সম্ভবা হাতির মৃত্যু ঘিরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়।
মুম্বইয়ের কাছে আলিবাগে প্রবল বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় "নিসর্গ": ১০ তথ্য
জানা গিয়েছে, বাজিভর্তি আনারস খেয়ে ফেলেছিল ওই হাতি। তারপরেই মুখে বিস্ফোরণ ঘটে সেই বাজির। ওই অবস্থায় যন্ত্রণা নিয়ে আত্তাপাদি নদীতে নামে সেই হাতি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ২৭ মে'র এই ঘটনা সম্প্রতি টুইটারে ভাইরাল করেন এক বনকর্তা। তারপর থেকেই ছিঃ ছিঃ রব দেশজুড়ে।
কেরলে গর্ভবতী হাতির নৃশংস মৃত্যু সারা দেশজুড়ে বিশাল ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল,বুনো ওই হাতি পালাক্কড় জেলার সাইলেন্ট ভ্যালির বন ছেড়ে খাবারের সন্ধানে নিকটস্থ এক গ্রামে যায়। সেখানেই বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেওয়া হয় তাকে। ফলটি তার মুখের মধ্যেই ফেটে যায় এবং তীব্র যন্ত্রণায় বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামেই ঘুরে বেড়াতে থাকে সে। ক্ষতবিক্ষত মুখে কিছু খেতেও পারেনি সে। অবশেষে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল সে, কিন্তু পারেনি। মারা যায় গর্ভবতী হাতিটি।
একবছর আগে নিহত! তাও দিব্য করতেন ফেসবুক; পঞ্জাবের তরুণী হত্যায় ধৃত প্রেমিক
এই বীভৎস ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। হাজারে হাজারে মানুষ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। টুইটারে পশুর বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুর জঘন্য কাজের প্রতিবাদে একের পর এক স্কেচ এবং ছবি শেয়ার করেছেন মানুষ।
ছবি শেয়ার করে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সাক্ষরতার হার শিক্ষার প্রতিফলন ঘটায় না।"