এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরকে রবিবার নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি
হাইলাইটস
- গবেষণার পরিধি ঠিক করা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে
- কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ স্টাডিজ ছাড়লেন অধ্যাপক মীনা টি পিল্লা
- মোদী সরকারকে নিশানা করেছে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে শশী থারুর
Thiruvananthpuram: গবেষণার পরিধি ঠিক করা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ প্রসঙ্গে এবার কেরালার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ স্টাডিজ ছাড়লেন অধ্যাপক মীনা টি পিল্লাই । নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় জানায় ‘জাতীয় স্বার্থে' প্রয়োজন এমন বিষয় নিয়েই গবেষণা করা যাবে। এ মাসের ১৩ তারিখ জারি হওয়া সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘ প্রতিটি বিভাগের প্রধানকে বলা হচ্ছে আপনারা শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসুন। ঠিক করুন জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয় এমন বিষয়ে গবেষণা করতে কী কী প্রয়োজন। যাঁরা গবেষণা করতে আসছেন তাঁরা যেন জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদের বিষয় বেছে নেন। বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে গবেষকদের উৎসাহ দেবেন না।'
এনডিটিভিকে তিনি জানান, নির্দেশিকা পড়ে আমি চমকে উঠেছিলাম। এমন একটা নির্দেশিকা জারি কী করে হয়? আর তা নিয়ে কেউ আলোচনাও করছে না কেন? এই নির্দেশিকা পড়ে পদ ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। আমার নিজেরই মনে হয়েছে এই পদক্ষেপের কোনও তাৎপর্য নেই। কিন্তু আমি এটা ছাড়া আর কিছু করতে পারতাম না, জাতীয় স্বার্থ বা দেশের কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা কে ঠিক করে? আর গবেষণাকে তার মধ্যে আবদ্ধই বা করে রাখা হবে কোন যুক্তিতে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরকে রবিবার নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘ প্রচন্ড বুদ্ধিমান প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী বলে দেবেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা কোন বিষয়ে গবেষণা করবেন আর কোন বিষয়ে করবেন না! অল্প বিদ্যা যে ভয়ঙ্কর তা বুঝতে বাকি নেই। টুইট করে এই নির্দেশিকার সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের তিরুঅন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর।