This Article is From Oct 11, 2019

৬টি খুনে অভিযুক্ত মহিলাকে দেখতে আদালতে উপচে পড়া ভিড়

Kerala Serial Killing: সায়ানাইড বিষে মৃত্যু হয় জলি শাজুর প্রাক্তন স্বামীর, শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে খুনের কথা কবুল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

Kerala Serial Murder: এই খুনগুলি হয় ১৪ বছর আগে, ২০০২ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে।

হাইলাইটস

  • জলি ও দুই অভিযুক্তকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়
  • খুনের জন্য সায়নাইড ব্যবহার করেছিল অভিযুক্তরা
  • ২০০২-২০১৬ এর মধ্যে একই পরিবারের ৬ জনকে খুন করা হয়
তিরুঅনন্তপুরম:

অর্থ ও সম্পত্তির জন্য ৬ জনকে খুন করার কথা কবুল করা মহিলাকে আদালত চত্ত্বরে জমল উপচে পড়া ভিড়। কেরলের কোঝিকোড়ের আদালতে বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিনে কেরলের পরপর খুনের (Kerala serial killing) ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বছর সাতচল্লিশের মহিলা জলি শাজু  (Jolly Shaju) । অন্য দুই অভিযুক্তের সঙ্গে জলি শাজুকেও ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। বাকি দুই অভিযুক্ত এমএস ম্যাথু এবং প্রাজি কুমার, ৬ জনকে খুন করতে জলি শাজুর ব্যবহার করা সায়নাইড সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে প্রাজি কুমারের বিরুদ্ধে।

বর্ধমানে সক্রিয় টিয়া পাচারকারী চক্র, উদ্ধার ৫০০ টিয়াপাখি, গ্রেফতার ২

প্রাক্তন স্বামীকে খুন করার অভিযোগে শনিবার জলি শাজুকে গ্রেফতার করা হয়, সায়নাইড বিষ প্রয়োগের ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, আরও পাঁচজনকে খুনের কথা কবুল করেছে জলি শাজু, তবে প্রথমে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে দিকেই নজর দিচ্ছে পুলিশ।

তবে চ্যালেঞ্জ হল, এই খুনগুলি হয় ১৪ বছর আগে, ২০০২ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে।

তবে শুধুমাত্র তার প্রাক্তন স্বামীর খুনের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে। তাঁর ভাইয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর, পুনরায় মামলাটির ফাই খোলা হয়। এরপরেই আরও পাঁচটি দেহ উদ্ধার করা হয়. তারমধ্যে ছিল একবছরের একটি শিশুকন্যার দেহও।

আগামী বুধবার জলিকে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মধ্যযুগীয়! মুখে কালি, জুতোর মালা গলায় যুবতী ও দলিত যুবককে ‘সবক' শেখাল গ্রামবাসী

রাজ্য পুলিশের ডিজি লোককান্ত বেহরা জানান, দেশ এবং বাইরের সবচেয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাঁর বাহিনী এবং মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা দেহের নমুনী পরীক্ষা করা হবে।

বাণিজ্যে স্নাতক জলি একজন ধার্মিক এবং ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা, পুলিশের মতে হতবাক, যে আদতে জলি একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি, যে শিশুকেও ছাড়ে না।

তদন্তকারী আধিকারিক কেজি সাইমন জানান, অর্থ ও সম্পত্তির কারণে ৬ জনকেই সে বিষ খাইয়ে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে জলি। তিনি বলেন, “আন্নাম্মা থমাস ছিলেন তাঁর শাশুড়ি, তিনি পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। পরিবারের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যু্ক্ত হওয়ার বাসনায় তাঁকে খুন করা হয়”।

‘চরিত্র' নিয়ে সন্দেহ! ১৯ বছরের প্রেমিকার মাথা থেঁতলে মেরে ফেলল প্রেমিক

দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাঁকে খুন করা হয়, তিনি হলেন, টম থমাস, দলির শ্বশুর। সম্পত্তির কারণে তাঁকে খুন করা হয়।

তৃতীয়  ব্যক্তি ছিলেন তাঁর স্বামী রায় থমাস, পরের জন ম্যাথু থমাস, ছিলেন আন্নাম্মার ভাই।  রায়ের মৃত্যুর পর, ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ম্যাথু থমাস।

পঞ্চম খুনের শিকার, একবছরের শিশু আলফাইন শাজু, তাঁর ভাইয়ের আগের পক্ষের মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছিল, খাবার খাওয়ার সময় বিষম খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল শিশুটির। কেজি সাইমন বলেন, “তবে সেটা আসল কারণ নয়। এই মামলায় আমলা ভালভাবে বিশ্লেষণ করি, চিকিৎসক, গবেষকদের সঙ্গে পরামর্শ করি এবং আমরা জানতে পারি সমস্ত মামলাগুলিতেই সায়নাইড ব্যবহারের লক্ষণ রয়েছে”।

 দেখে নিন আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি: 

ষষ্ঠ খুনের শিকার ফিলি, তিনি ছিলেন জলির স্বামীর প্রথমপক্ষের স্ত্রী। জানা গিয়েছে, পুলিশকে  জলি জানায়, সে ফিলিকে জল দিয়েছিল এবং জলপানের পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে সেটায় বিষ মেশানোর অভিযোগ রয়েছে। কেজি সাইমন বলেন, “এই মৃত্যুগুলির পর, তিনি শাজুকে বিয়ে করেন”।

.