Read in English
This Article is From Apr 10, 2019

পিঠে ব্যাগ, স্কুলের পোশাকে ঘোড়ায় চড়ে কেন স্কুলের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন এই ছাত্রী?

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দশম শ্রেণির এই ছাত্রী সদর্পে ঘোড়া ছুটিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, পিঠে রয়েছে স্কুলব্যাগ।

Advertisement
সিটিস (with inputs from ANI)
ত্রিশূর (কেরলা) :

ঘোড়ায় চড়ে মানুষ যে কী কী করেছে তা ইতিহাসের বই জানে। যুদ্ধ করা থেকে শুরু করে বিয়ে করা, ঘোড়ার পিঠে চাপা মানেই আভিজাত্যবোধ এক ধাপে বেড়ে যাওয়া। তারপর ঘোড়দৌড়, ঘোড়ায় চড়ে নানা খেলাধুলো সেসবও রয়েছে। কিন্তু সবকিছুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী। স্কুল ইউনিফর্ম পরে ঘোড়ায় সওয়ার (riding a horse in school uniform) হওয়া তাঁর একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। কেরলের ওই স্কুল পড়ুয়া কেন ঘোড়ায় চড়ে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় নেমেছিল সেকথা জেনে তাজ্জব অনেকেই!

 ‘কানহাইয়ার জয় গণতন্ত্রের জয়!' ছাত্রনেতার প্রচারে কোন বলিউড অভিনেত্রী?

কেরলের ত্রিশূর জেলার (Kerala's Thrissur district) বাসিন্দা কৃষ্ণা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “আমি ঘোড়ায় চড়ে রোজ স্কুলে যাই না। কিছু কিছু বিশেষ দিনে, অথবা যখন আমি বিরক্ত হয়ে যাই বা কিছু কিছু পরীক্ষার দিনে আমি ঘোড়ায় চেপে স্কুলে যাই। যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে এবার কোন বিশেষ দিন ছিল, তাহলে বলব, এদিন আমার দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার শেষ দিন ছিল।”

Advertisement

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দশম শ্রেণির এই ছাত্রী সদর্পে ঘোড়া ছুটিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, পিঠে রয়েছে স্কুলব্যাগ। ব্যস্ত শহরের সরু একটা গলির মধ্যে দিয়ে ঘোড় সওয়ার কৃষ্ণা দক্ষ হাতে লাগাম ধরে রেখেছে, ঘোড়া ছুটছে জোরেই।

কৃষ্ণা জানান, ৭ বছর বয়সে তিনি ঘোড়ায় চড়া শেখেন এবং বহু বছর ধরে অনুশীলন করে এখন সহজেই ঘোড়া চেপে স্কুলে যেতে পারেন। কৃষ্ণা বলেন, “আমার বন্ধুদের মধ্যে একজন বলেছিল, ঘোড়ার পিঠে চড়া এত সহজ নয় এবং মেয়েদের পক্ষে তো সম্ভবই নয়। ওই বন্ধু বলেছিল, ঝাঁসির রানীর মতো মহিলাদের জন্যই এমন সম্ভব। তাই আমি ভাবলাম কেন কোনও সাধারণ মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারে না!” 

Advertisement

পাঁচ মাসের মেয়ের দেহে বসল মায়ের যকৃৎ!

প্রথম যে ঘোড়ায় তাঁর প্রশিক্ষণ শুরু হয় সেটই কৃষ্ণার বাবাই তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন। ছোট্ট ওই সাদা ঘোড়ায় প্রশিক্ষণ নেওয়া, বা অনুশীলন চলাকালীন পশুদের উপর সহজ নিয়ন্ত্রণ নিতে শিখতে সুবিধা হয়েছিল তাঁর।

Advertisement

শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা কৃষ্ণার প্রশংসা করে বলেছেন, নিজের কম্পিউটারের স্ক্রিন সেভারে এই মেয়েটির ঘোড়ায় চড়া ছবিটিই রাখতে চান তিনি। টুইটে লিখেছেন, “ব্রিলিয়েন্ট! মেয়েদের শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।”

Advertisement