চোর বাবাজি আঙটি, দুল, গলার হার সহ অনেক কিছুই নিয়ে চম্পট দেন।
বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘কুকুর বলে কি মানুষ নয়’? যে কাহিনির মধ্যে এই কথা লিখেছিলেন তিনি, তা কল্পনার। কিন্তু কেরালার এই কাহিনিটি আসলে বাস্তবের। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় জানতে পারলে হয়তো রসিকতা করেই লিখতেন, চোর বলে কি আর মানুষ নয়! কথায় আছে, চোরের সাতদিন, গৃহস্তের একদিন। কিন্তু, এখানে সাতদিন পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হল না। চোর দু’দিনের মধ্যেই ফিরে এল। সঙ্গে চুরি করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটি চিঠি!
ঘটনাটি কেরালার অম্বালাপুঝুর। ওখানকার থাকাঝি পঞ্চায়েত এলাকার একটি ফাঁকা বাড়িতে গত মঙ্গলবার চুরি করতে আসে ওই চোর। গৃহকর্তা তখন তাঁর পরিবার সহ আত্মীয়ের বিয়েতে রয়েছেন।
পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সেই চোর বাবাজি আঙটি, দুল, গলার হার সহ অনেক কিছুই নিয়ে চম্পট দেন।
পরিবারটি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে আসার পর চুরির ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিশেও খবর দেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু, পুলিশ আর কী করবে! ততক্ষণে তো বাবাজির মন কেঁদে উঠেছে! সে যা যা চুরি করেছিল, সব পোঁটলায় বেঁধে ওই গৃহকর্তার বাড়িতে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসে চুরির দু’দিন বাদেই। সঙ্গে একটি চিঠি।
“আমাকে পুলিশের হাতে দেবেন না। আমাকে ক্ষমা করুন। আমি ক্ষমা চাইছি। খুব বিপদে পড়ে কাজটা করে ফেলেছিলাম”, চিঠিতে লেখে ওই চোর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই চোর সমস্ত সোনার গয়না ফিরিয়ে দেওয়ায় তার নামে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
পাপ বাপকেও ছাড়ে না, এ আমরা জানি। কিন্তু, পাপ যে চোরকেও ছাড়ে না, তা এই ঘটনা থেকে দিব্যি মালুম হল!
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)Click for more
trending news