This Article is From Dec 09, 2018

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পুলিশকর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সেনা জওয়ান

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পুলিশকর্মী সুবোধকুমার সিংহকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অন্যতম  অভিযুক্ত জীতেন্দ্র মালিক।

শনিবার মাঝরাতে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয় সেনা বাহিনী।

হাইলাইটস

  • সুবোধকুমার সিংহকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার জীতেন্দ্র মালিক
  • সেনা জওয়ান জীতেন্দ্রকে অনেকেই জিতু ফৌজি নামে ডাকেন
  • গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাঁর উপর নজরদারি চলছিল
বুলন্দশহর:

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পুলিশকর্মী সুবোধকুমার সিংহকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অন্যতম  অভিযুক্ত জীতেন্দ্র মালিক। সেনা  জওয়ান জীতেন্দ্রকে  অনেকেই জিতু ফৌজি নামে ডাকেন। গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে  তাঁর  উপর নজরদারি চলছিল। শেষমেশ শনিবার মাঝরাতে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয় সেনা বাহিনী। প্রবীণ পুলিশ কর্তা  অভিষেক সিং জানিয়েছেন রাত  ১২ টা ৫০ নাগাদ সেনার তরফ থেকে জিতুকে তাঁদের হেফাজতে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও সারা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এরপর পেশ করা হবে আদালতে।  আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতারির আগে  শুক্রবার রাতে  জম্মু ও কাশ্মীরে আটক হয় জিতু।   

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সেনাকর্তার মন্তব্য সমর্থন করে রাহুল একহাত নিলেন মোদীকে

জীতেন্দ্র রাষ্ট্রীয় রাইফেলস বাহিনীর জওয়ান হিসেবে  শ্রীনগরে কর্মরত ছিলেন।  ১৫ দিনের ছুটিতে  বুন্দেলশহরের বাড়িতে  আসেন জিতু। সেদিন যখন সুবোধ কুমার সিংকে মারধর করা হচ্ছিল তখন ঘটনাস্থলে যে জিতু ছিলেন তা বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা  গিয়েছে। সূত্রের খবর গোলমালের দিনই পালিয়ে যান তিনি।

তবে সুবোধের মৃত্যু মালিকের গুলিতেই হয়েছে  কিনা তা স্পষ্ট হয়নি এখনও।

ভিডিয়ো ছারেয়া  কিছু ছবিও হাতে এসেছে  পুলিশের। তাতে দেখা  গিয়েছে  মূল অভিযুক্ত বজরং দলের নেতা যগেশ রাজের পাশেই রয়েছেন জিতু।  এরকমই কয়েকটি  সূত্রকে  সামনে রেখে  গ্রেফতার হয়েছেন জিতু।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে হৈ চৈ বেশি হয়েছে, মত প্রাক্তন সেনা কর্তার

এদিকে, বুলন্দশহরে পুলিশ খুনের ঘটনার ছ'দিন পর সরানো হল জেলা পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট কৃষ্ণ বাহাদুর সিংকে। এই ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ওই পুলিশ কর্তা  ছাড়া আরও দুই পুলিশকর্মীকে সরানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রক কর্তা জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মীরা গিয়ে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছেন বলেই তাঁদের সরাবার  সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ কর্তাকে সরানোর আগে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। অন্যদের সঙ্গে  সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজিও।  ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রিপোর্ট জমা  দিয়েছেন তিনি।  দিল্লি থেকে ফেরার পরই তাঁর হাতে  রিপোর্ট  তুলে  দেওয়া  হয়।

.