This Article is From Jul 12, 2019

Durga Puja 2019: ‘গঙ্গা’ আসছেন বাঘাযতীন তরুণ সংঘে, খুঁটিপুজোয় প্রিয়াঙ্কা

চারিদিকে জলের হাহাকার। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। রাজ্যবাসী, বাংলার মানুষ কি জলের অভাবে উৎসব ভুলবেন? একেবারেই না। কারণ, দেবী গঙ্গা নামছেন মর্ত্যে।

Advertisement
Kolkata

খুঁটিপুজোয় প্রিয়াঙ্কা সরকার (ছবি: বাঘাযতীন তরুণ সংঘ)

কলকাতা:

চারিদিকে জলের হাহাকার। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। রাজ্যবাসী, বাংলার মানুষ কি জলের অভাবে উৎসব ভুলবেন? একেবারেই না। কারণ, দেবী গঙ্গা নামছেন মর্ত্যে। এবারের দুর্গাপুজোয়। বাঘাযতীন তরুণ সংঘের সৌজন্যে (Baghajatin Tarun Sangha Sarodutsav 2019)। পতিতপাবণী গঙ্গা নয়, গঙ্গা-দূষণও নয়, একেবারেই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গঙ্গাকে থিম করে ৭০ তম দুর্গোৎসব পালন করতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার এই ক্লাব। ৬৭ বছর ধরে সাবেকি বারোয়ারি পুজোর মাধ্যমে দেবী বন্দনা করত বাঘাযতীন তরুণ সংঘ। গত তিন বছর ধরে অর্থাৎ ২০১৭ থেকে থিম পুজোয় মাতৃ আরাধনা করছেন সদস্যবৃন্দ। এবং গত তিন বছর ধরে পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। ছেলে সহজকে নিয়ে যিনি খুঁটিপুজোর (Khuti Puja) দিন থেকে ওতপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকেন এই পুজোর সঙ্গে।

রথের দিনেই দুর্গাপুজোর প্রথম বাদ্যি বাজে। উল্টোরথের (Ulta Rath Yatra) পুণ্য লগ্নে খুঁটিপুজো করে সেই আয়োজনকে আজ আরও একটু এগিয়ে নিয়ে গেল ক্লাব। সহজের হাত ধরে প্রিয়াঙ্কা তো উপস্থিত ছিলেনই। এছাড়াও ছিলেন, জাকার্তা এশিয়ার সোনাজয়ী বাঙালি প্রণব বর্ধন এবং ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল। পুজোর পরেই ছিল ঢালাও ভূরিভোজের আয়োজন--- খিচুড়ি, আলুর দম, মিষ্টি।

Advertisement

কথা হচ্ছিল বাঘাযতীন তরুণ সংঘের থিম শিল্পী পার্থ ঘোষের সঙ্গে। তিনিই পুজোর থিম 'এস মুক্ত কর' সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, যেহেতু গঙ্গা আসছেন মর্ত্যবাসীর পুজোয় তাই এবারের বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজোর থিমের পোস্টারে নীল-সাদা রঙের জলোচ্ছ্বাসে উদ্ভাসিত প্রিয়াঙ্কা। আমাদের খুঁটির রঙেও তাই নীল-সাদার ছোঁয়া। আমার ভাই সিদ্ধার্থ ঘোষও থিম বানিয়েছেন আমার সঙ্গে। 

পুজোর আবহ মাথায় রেখে প্রিয়াঙ্কা সেজেছিলেন লাল-সাদা শাড়িতে। খুঁটিপুজো ছাড়াও তাঁকে দেখা গেছে ভোগ বিতরণের সময়েও। পুজো নিয়ে কথা তুলতেই প্রিয়াঙ্কার খুশিমাখা জবাব, গত তিন বছর ধরে এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। ভীষণ ভালো লাগে বাঘাযতীন তরুণ সংঘ যখন পুজোর পাশাপাশি সমাজসেবার কাজও করে। পুজোয় নর-নারাযণ সেবা ছাড়াও বছরে আটবার বস্ত্র বিতরণ, দরিদ্রের জন্য হেল্থ ক্যাম্প, অঞ্চলের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে আয়োজন করে তিনদিনের হস্তশিল্প মেলা। এছাড়াও, প্রতি শীতে পিঠে-পুলি উৎসব তো আছেই।

Advertisement

পুজোর চেয়ারম্যান এবং ক্লাবের সম্পাদক গৌতম ঘোষের কথায়, পুজোর চারটে দিন তো বটেই হস্তশিল্প মেলা আনন্দের হাট আর পিঠে-পুলি উৎসবেও কোমর বেঁধে নেমে পড়েন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Sarkar)। গত দু-বছর ধরে মায়ের সঙ্গে পুজোর কাজে ব্যস্ত থাকে প্রিয়াঙ্কার ছেলে সহজও। 

Advertisement