ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর বিলম্বের পিছনে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই।’’
ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) দাপটে এখনও নিষ্প্রদীপ শহরের বহু অংশ। কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না ফেরার জন্য রাজ্য সরকার কিংবা কলকাতা পুরসভাকে (KMC) দায়ী করা যায় না। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) রবিবার এমনটাই দাবি করলেন। কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে অভিযুক্ত করেছে বিরোধীরা। এর বিরোধিতা করে ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন, সিইএসসি নিজেরাই জানিয়েছে তাদের হাতে পর্যাপ্ত কর্মী নেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজের জন্য। এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘এটা দোষারোপের সময় নয়। সিইএসসি নবান্নকে আজ জানিয়েছে তারা অন্তত ৫০ শতাংশ জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পেরেছে। এবং আগামীকালের মধ্যে বহু জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।''
তাঁর দাবি, এই বিলম্বের জন্য রাজ্য সরকার বা কলকাতা পুরসভাকে দায়ী করা যায় না। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর বিলম্বের পিছনে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। এটা হচ্ছে সিইএসসি-র জন্য। তাদের কর্মীসংখ্যায় ঘাটতি রয়েছে। সম্ভবত বর্তমান পরিস্থিতির (কোভিড-১৯ অতিমারী) জন্যই।''
বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বহু জেলাতেই বিপুল সংখ্যক গাছ পড়ে গিয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন, এখনও বহু জায়গায় রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, প্রতিটি বোরোর দায়িত্বপ্রাপ্তদের বলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাজের দিকে নজর দিতে।
বিজেপি, সিপিআই(এম), কংগ্রেস গত কয়েক দিন ধরেই আক্রমণ করছে মেয়রকে। বিরোধীদের অভিযোগ, দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য সরকারের পরিকল্পনায় গলদ ছিল। পাঁচ দিন আগে থেকেই যখন আমফানের আসার কথা জানা গিয়েছিল, তখন কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হল না সে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)