তারপরেই শনিবার মেয়রকে চিঠি পাঠান মুখ্য পুর স্বাস্থ্যকর্তা।(ফাইল ছবি)
কলকাতা: কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্তা (Medical Officers of KMC)-সহ কর্মীদের বরখাস্ত করতে চায় কলকাতা পুরসভা। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে মেয়রের (Mayor of Kolkata) অনুমোদন চাইল পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ। জানা গিয়েছে, পুরসভা পরিচালিত ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্তা-সহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপস্থিতি নজরে এসেছে। পুরসভার তরফে তাঁদের যাতায়াত ও থাকার বন্দোবস্ত করলেও অনেকে স্বাস্থ্যকর্মীর সেই ক্লিনিকে আসতে অনীহা। এমন একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগে। তারপরেই এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিতে তৎপর হয়েছেন পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা (CMOH)।তিনি অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের বরখাস্তের আবেদন জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লেখেন। কেন এই সিদ্ধান্ত, সে ব্যাপারে বিস্তারিত সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে মেয়রের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে সেই চিঠিতে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে ৯টি রাজ্য
ইতিমধ্যে, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ দাবি করেছেন, "প্রায় ৩০% স্বাস্থ্যকর্তা ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা কাজে আসছেন না। পুরসভা পরিচালিত ক্লিনিকগুলোতে তাঁদের অনুপস্থিত লক্ষণীয়। এমনকি, পুরসভাকে অনুপস্থিত কারণও জানানো হচ্ছে না।" পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার অধীনে ১৪৪টি ওয়ার্ড। আর প্রতি ওয়ার্ডপিছু একটা করে ক্লিনিক। বাধ্যতামুলক বলা আছে, এই সঙ্কটের সময়ে সেই ক্লিনিকে একজন করে চিকিৎসক আর প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা থাকবেন। কিন্তু সেই নির্দেশ লঙ্ঘনের বহর চোখে পড়ার মতোই। রবিবার এমনটা জানিয়েছেন পুর স্বাস্থ্যবিভাগের একটা সূত্র। গত ২১ এপ্রিল ডেপুটি মেয়র খোদ এই "দায়িত্বজ্ঞানহীন" মেডিক্যাল কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, কড়াভাবে সতর্ক কড়া হোক অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রয়োজনে বেতন আটকে দিয়ে বার্তা পাঠানো হোক।
লকডউন মিটলে ফেরানো হবে আটক ভারতীয়দের! তবে কাটতে হবে বিমানের টিকিট
তারপরেই শনিবার মেয়রকে চিঠি পাঠান পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা। সেই চিঠিতেই এই অনুপস্থিত স্বাস্থ্যকর্তা-সহ কর্মীদের বরখাস্ত করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)