হাইলাইটস
- সমকামিতা কি অপরাধ?
- আজই সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত জানিয়েছে
- প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র সহ আরও চারজন ছিলেন
নিউ দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ধারা 377 অপ্রাসঙ্গিক, তাই জানিয়েছেন যে, সমকামিতা অপরাধ নয়। এবার সেটাই হয়ে গেল, রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানিয়ে দিলেন, সমকাম অপরাধ নয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইন অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধ। এই ধারা খারিজ করার দাবিতে ফের মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলাটি শুনেছে। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আছেন বিচারপতি আর এফ নরিমান, এ এম খানউইলকার, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা। জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। আবেদনকারীরা ব্যক্তিগত অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। উল্লেখ যোগ্য, প্রথমদিকে জানানো হয়েছিল, সংবিধান অনুসারে 'যৌন স্বাধীনতা' মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে কিনা সেই বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ। যে পাঁচজন বিচারপতি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রদান করলেন, তাদের সম্পর্কে একটু জেনে নিন:
বিচারপতি দীপক মিশ্র: দেশের প্রধান বিচারপতি 2 শরা অক্টবর অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন। বিচারপতি দীপক মিশ্র ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে 1977 সালের 14 ই ফেব্রুয়ারি নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। 1996 সালে তিনি হাইকোর্টের এডিশনাল বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। 2009 সালে তিনি পাটনা হাই কোর্টের মুখ্য বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। 2011 সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
বিচারপতি আর এফ নরিমান: এনার জন্ম হয়েছিল, 13 ই আগস্ট 1956 সালে। তিনি আগে সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ উকিল হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। 2011 সালে তিনি দেশের সলিসিটর জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। 2013 সালে তিনি কিছু কারণ বশত ইস্তফা দেন। মাত্র 37 বছর বয়সেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ উকিল হতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বিচারপতি এ এম খানউইলকার: বিচারপতি এ এম খানউইলকার 1982 সালে নিজের শুরু করেছিলেন। 2002 সাল থেকে তিনি বোম্বে আদালতের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। 2013 সালে তিনি হিমাচল প্রদেশের মুখ্য বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। এর ঠিক তিন বছর বাদে তিনি সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা: বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এই বছরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে যোগদান করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত করেছিলেন। 2007 সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সপ্তম মহিলা বিচারপতি।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়: সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এলাহাবাদ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি ছিলেন। মাত্র 40 বছর বয়সেই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বোম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।