This Article is From Jan 19, 2019

এক ঝলকে ব্রিগেড, জেনে নিন কে কী বললেন?

মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ  বাজারে লেগেছে আগুন, জাগুন বাংলা জাগুন, কটাক্ষ মমতার

এক ঝলকে ব্রিগেড, জেনে নিন কে কী বললেন?
কলকাতা:

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের ভাষণে সরগরম ছিল শনিবারের ব্রিগেড। এক নজরে দেখে নেব সেই সভার কিছু বিশেষ বক্তব্য।

হার্দিক প্যাটেলঃ এক সময় নেতাজি বাংলার মাটি থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন আর এবার বাংলা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়বে।

জিগনেশ মেভানিঃ  ভারতের সংবিধান আক্রান্ত। গত সাড়ে চার বছর ধরে ভারেতের সমস্ত সম্প্রদায় আক্রান্ত হয়েছে।

হেমন্ত সোরেনঃ দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপট বেড়েছে। একে  পরাস্ত করতেই হবে বলে  মত হেমন্ত সোরেন।

 গেগং আপাংঃ আমার কণ্ঠ উত্তরপূর্ব ভারতের কণ্ঠ। আমার ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি থেকে শুরু করে অটল বিহারী বাজপেয়ীদের দেখেছি। কিন্ত গত চার বছর ধরে দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। শাসকের হাতে  সিবিআই অকেজো হয়ে পড়েছে।

লালডোমাঃ  নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে  উত্তর পূর্বাঞ্চলের পক্ষে দেশে থাকা কঠিন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সাত বছরের মধ্যে রাজ্যকে বদলে দিতে পারেন তাহলে দেশকেও বদলে  দিতে পারবেন।

জয়ন্ত সিনহাঃ আচ্ছে  দিন আনতে হলে মোদীকে দেশ থেকে হঠাতে হবে।
যশবন্ত  সিনহাঃ একজনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নয়, আমরা  ভাবনার বদল আনতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশে গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে আছে।

অরুণ শৌরিঃ  এই সরকারের চলে  যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন তিনি ক্ষমতায় থাকতে  পারবেন না। তাই যে কোনও ভাবে ক্ষমতায় থেকে যেতে চাইছেন।

অভিষেক মনু সিংভিঃ কাশ্মীরে বিশ্বের সবচেয়ে অনৈতিক জোট করেছে বিজেপি আর ওরা আমাদের জোট নিয়ে শিক্ষা দেয়!

ওমর আব্দুল্লাঃ  ইভিএমকে চোর মেশিনে পরিণত হয়েছে।  বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ইভিএমের বাতিল করার দাবি জানানো উচিত।

 এম কে  স্ট্যালিনঃ কেন্দ্রীয় সরকার নরেন্দ্র মোদী প্রাইভেট লিমিটেডে পরিণত হয়েছে। এই সরকার বড়লোকদের সরকার। দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে  দেখা  করেন বিজয়া মালিয়া।

অখিলেশ যাদবঃ নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখলে দেশের আনন্দ হবে। এখন দেশের ভাবনা চিন্তার  উপর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আজ আওয়াজ তুলেছে বাংলা কাল সেটা গোটা ভারত বলবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালঃ  গত  ৭০ বছর ধরে ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করেছ পাকিস্তান। বার বার চেষ্টা করলেও তারা পারেননি। কিন্তু মোদী - অমিত শাহ ৫ বছরে সেটাই  করে দেখিয়েছেন। প্রকৃত দেশ প্রেমিকদের দায়িত্ব অন্য সবকিছু ভুলে মোদী- শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

 চন্দ্রবাবু নায়ডুঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাজ করেন না,  নিজের প্রচার  করতেই ব্যস্ত থাকেন।

শরদ কুমারঃ প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে নয়  বিজেপির মধ্যেই লড়াই আছে।

মল্লিকার্জুন খাড়গেঃ রাফাল দুর্নীতিতে অনীল আম্বানীকে তিরিশ হাজার কোটি টাকার মুনাফা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 এইচ ডি দেবেগৌড়াঃ  ২৮২ টি আসন নিয়ে বিজেপি  ক্ষমতায় আসে। কিন্তু দেশ না গড়ে দেশ ভাঙার কাজ করেছে। যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেন তাঁদের এই সরকারের বিরুদ্ধে  লড়াই করা উচিত।

শত্রুঘ্ন সিনহাঃ  অনেকে বলছে এবার দল থেকে আমাকে দল থেকে বহিস্কার  করে দেওয়া হবে। তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কারণ আমি আগের দেশের তারপর কোনও দলের। এছাড়া জিএসটি থেকে রাফাল প্রসঙ্গে সুর চড়ান। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে  তথ্য না দিলে  তারা চৌকিদারকে চোর বলবেই।

তেজস্বী যাদবঃ চৌকিদার যেভাবেই কাজ করুন না কেন জানবেন দেশের জনতা পুলিশ। ভুল করলে শাস্তি দেবে। প্রধানমন্ত্রী অসত্য কথনের ডিস্ট্রিবিঊতার এবং হোলসেলার।

মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ  বাজারে লেগেছে আগুন, জাগুন বাংলা জাগুন, কটাক্ষ মমতার

.