পরের মাসের ৮ তারিখের পর রাস্তায় ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি চলবে না
হাইলাইটস
- দু’মাসের মধ্যে ৩৫ দিনই কলকাতার বায়ু দূষণ ছিল ‘ভয়াবহ’
- ২০১৯ সালের শীতকালে শহরবাসীর ভোগান্তি কমিয়ে আনবে প্রশাসন: মন্ত্রী
- রাজ্যের তিন জায়গায় ৮০ টি ইলেকট্রিক বাসও নামাচ্ছে প্রশাসন
কলকাতা: দিল্লিকে কি ছুঁয়ে ফেলবে কলকাতা? না রাজধানীর সঙ্গে এক সারিতে বসার সুযোগ থাকছে বলে কলকাতার নাগরিকদের অনন্দিত হওয়ার কোনও কারণ নেই । এখন পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে সেখান থেকে বলাই যায় বায়ু দূষণের দিক থেকে প্রায় দিল্লিকে ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা। একটি হিসেব থেকেই স্পষ্ট হয় ব্যাপারটা। নভেম্বর এবং ডিসেম্বর – এই দু'মাসের মধ্যে ৩৫ দিনই কলকাতার বায়ু দূষণ ছিল ‘ভয়াবহ'। দিল্লিতেও অবস্থা প্রায় এক। এর পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় রাজ্য সরকারকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে ন্যশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তবে পরিস্থিতি বদলের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এনডিটিভিকে তিনি বলেছেন ২০১৯ সালের শীতকালে শহরবাসীর ভোগান্তি কমিয়ে আনবে প্রশাসন। বর্ষার মরসুম শেষ হওয়ার আগেই পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে মনে করেন শুভেন্দু।
নির্মাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেই বৈঠকের পর তিনি বলেন, নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সাইট ঢেকে রাখতে হবে। উন্মুক্ত অবস্থায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে না। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা রেল বিকাশ লিমিটেডেরও। কিন্তু তারা আসেনি। এই বিষয়টিকে উপযুক্ত জায়গায় জানানো হবে বলে মন্ত্রী জানান। এর পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। বাস থেকে শুরু করে যে সমস্ত গাড়ি যাত্রী বা পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলির আর রাস্তায় চলা হবে না। কলকাতার পাশাপাশি ব্যারাকপুর এবং হাওড়াতেও একই নিয়ম লাগু হবে। এ ব্যাপারে প্রচার চালাচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। মন্ত্রীর আশা পরের মাসের ৮ তারিখের পর রাস্তায় ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি চলবে না।
এদিকে ৮০ টি ইলেকট্রিক বাসও নামাচ্ছে প্রশাসন। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই কলকাতা, আসানসোল এবং হলদিয়ায় এই সমস্ত বাস নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এই তিন জায়গায় ২০ টি করে সিএনজি পরিচালিত বাসও নামছে বলে মন্ত্রী জানান। রাজ্যের ৫৫ টি জায়গায় বাস চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
কঠিন ব্রজ নিয়ে শহরের কয়েকটি জায়গায় এখনও সমস্যা থেকে গিয়েছে। বেলঘোরিয়া বা ইএম বাইপাসে খোলা আকাশের নীচেই রয়েছে ময়লা ফেলার জায়গা। সেটাকে কী ভাবে সামাল দেওয়া যায় তা ভাবছে রাজ্য সরকার।
এছাড়া মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন শহরের দশটি জায়গায় বসছে বিশেষ যন্ত্র। এগুলির সাহায্যে বাতাসে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।