কলকাতা বিমান বন্দরের রানওয়ে ভেসে গিয়েছে
New Delhi: ছ'ঘণ্টার ঝড়ে তছনছ কলকাতা শহর ও শহরতলী। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কলকাতা বিমান বন্দরও।জলের তলায় চলে গিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের অনেক অংশ। ক্ষতি হয়েছে অনেক কাঠামোরও। ঘণ্টা।১২০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়ে যায় শহরের উপর দিয়ে। যার ফলে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিধ্বস্ত অবস্থা বিভিন্ন অংশের।
কলকাতা বিমানবন্দরে জলের তলায় চলে গিয়েছে টারম্যাক, রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গার। একটি জায়গার ছাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
একটি বিমানকে দেখা গেল হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কর্মকর্তাদের মতে, দু'টি হ্যাঙ্গার মেরামত করার মতো পরিস্থিতিতে নেই এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে সেগুলি অব্যবহৃত ছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
২৫ মার্চ থেকে যাত্রী উড়ান বন্ধই ছিল করোনভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে। সেই সময় থেকে কার্গো এবং উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত বিমানই চলছে।
বুধবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ আমফান বাংলার উপর আছড়ে পড়ে, গাছ উপড়ে যায়, বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য অংশে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়ে।
"সর্বনাশ হয়ে গেল (এটি একটি বিপর্যয়)," বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ঝড়ের সময় তাঁর অফিসেই ছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে আমফানের প্রভাব করোনভাইরাস মহামারীর চেয়েও খারাপ ছিল। তিনি দাবি করেন যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এক লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
"একটার পর একটা এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যাহত," বলেন মমতা। পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হলেও, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ঝড়ের ক্ষমতা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি।
এই ঝড় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলি এবং কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে।
১৯৯৯-এর পরে প্রথম সুপার সাইক্লোন বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া, এর আগে ওড়িশায় সুপার সাইক্লোন প্রায় ১০,০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
দেখুন আমফানের দাপট: