'নিজের কাজ দিয়েই তিনি মানুষের মধ্যে অমর হয়ে থাকবেন। '
কলকাতা: আবার বিতর্কে জড়ালেন তসলিমা নাসরিন। আর এবার রাঁচির মিশনরিজ আফ চ্যারিটির কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা শিশু পাচারের অভিযোগকে নিশানা করে সরাসরি আক্রমণ করলেন মাদার (সন্ত) টেরিজাকে। লেখিকার তোলা যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করেছেন কলকাতার আর্চ বিশপ থেকে শুরু করে অনেকে।
তসলিমা নিজের টুইটারে লেখেন, “মাদারের প্রতিষ্ঠান যে বাচ্চা বিক্রি করে এটা সবার জানা। মাদার নিজেও বহু বেআইনি, অমানবিক, অনৈতিক, আদর্শহীন, বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অপরাধী বিখ্যাত বলে তাঁকে আড়াল করার কোনও মানে হয় না।’ এ প্রসঙ্গে নিজের দুটি বইয়ের উল্লেখ করে তসলিমা বলেন সেগুলি পড়লেই মাদারের কাজ সম্পর্কে জানা যাবে।
টুইট ছড়াতে শুরু করতেই বিতর্ক শুরু হয়। প্রতিক্রিয়া দেন কলকাতার আর্চ বিশপ টমাস ডিসুজা। তিনি বলেন, এ ধরনের কথার মধ্যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। লেখিকার যা ইচ্ছা তিনি তাই বলতে পারেন কিন্তু তাতে মাদারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না । নিজের কাজ দিয়েই তিনি মানুষের মধ্যে অমর হয়ে থাকবেন। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও মিশনরিজ অফ চ্যারিটির মুখপাত্র সুনীতা কুমার বুঝিয়েদেন গোটা বিষয়টি তাঁকে ব্যথিত করেছে। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ। তাঁর কথায়, এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি । মাদারের ব্যাপারে কথা বলার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
রাঁচির মিশনরিজ অফ চ্যারিটর হোমে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন সিস্টার সহ দু’জন। গোটা দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে মাদারকে কলুষিত করার ছক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও মমতাকে সমর্থন করেছেন। কিন্ত এ বিষয়ে একেবারে উল্টো অবস্থান নিলেন লেখিকা । অন্যদিকে রাঁচির ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের দাবি ধৃতরা নিজদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাছাড়া রবিবার পাচার হয়ে যাওয়া আরও একটি শিশুর খোঁজ মিলেছে। এ নিয়ে মোট চার শিশুর খোঁজ পাওয়া গেল।